Homeএখন খবরকেন্দ্রকে দেওয়া রাজ্যের চিঠিতে এক লাফে করোনা আক্রান্ত বাড়ল ১৮৭, শুধু...

কেন্দ্রকে দেওয়া রাজ্যের চিঠিতে এক লাফে করোনা আক্রান্ত বাড়ল ১৮৭, শুধু কলকাতাতেই ৪৮৯, ফের তথ্য চাপার আভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে অমিল ছিলই, বিরোধীদের দাবি ছিল আক্রান্তের সংখ্যা আড়াল করছে রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবারই যে চিঠি রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে পাঠানো হল তা রীতিমত অবাক করা কান্ড। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ১৮৭ বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩১জন!

এই সেই চিঠি  বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের দাবি ছিল ওইসবদিন বিকেল অবধি রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৫৭২ জন, সুস্থ ১৩৯ জন এবং মৃত ৩৩ জন। সব মিলিয়ে ৭৪৪ জনের হিসেব জানিয়েছিল রাজ্য। অথচ অথচ ওই দিনেই কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে দেখা যাচ্ছে যে, ১৮৭ জন বেড়ে আক্রান্ত ৯৩১। বৃহস্পতিবারই, ৩০ এপ্রিল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের বিবেক কুমারের স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদনকে পাঠানো এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৯৩১ জন, যার মধ্যে কলকাতাতেই ৪৮৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এতদিন নবান্ন থেকে রাজ্যবাসীর সামনে অন্যরকম তথ্য পেশ করছিলেন মুখ্যসচিব?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদনকে ৩০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার যে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার, তাতেই পরিষ্কার যে বাংলায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।

বিবেক কুমারের ওই চিঠিতেই পরিষ্কার যে কলকাতার অবস্থা উদ্বেগজনক। রাজ্যের চিঠি অনুসারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৯। হাওড়ায় ১৭৬, উত্তর ২৪ পরগনায় ১২২ ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৪। এছাড়া বাকি ১১টি অরেঞ্জ জোন জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৯৩১।
অরেঞ্জ জোন জেলাগুলির মধ্যে হুগলিতে ৩১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২, পশ্চিম বর্ধমানে ১০, নদিয়ায় ৮, কালিম্পংয়ে ৭, দার্জিলিংয়ে ৬, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও পূর্ব বর্ধমানে ২ জন করে করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই চিঠি প্রবল জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

রাজ্যের প্রকৃত করোনা পরিস্থিতি ঠিক কতটা ভয়াবহ, তা এই চিঠির মাধ্যমেই যেন প্রকাশ্যে উঠে এল। যদিও এখনও এই বিষয়ে রাজ্যের কোনও ব্যাখ্যা এখনও অবধি পাওয়া যায়নি। উল্লেখ যোগ্য ভাবেই বিবেক কুমার চিঠিতে বলছেন, ‘আমি একটি সঠিক শ্রেনীবিন্যাস (কারেক্ট ক্লাশিফিকেশন)তথ্য সম্বলিত পত্র এই চিঠির সঙ্গে যুক্ত করে দিলাম।’  এখন প্রশ্ন হল এর পূর্বে কি তাহলে এমন কোনও শ্রেনী বিন্যাস পাঠানো হয়েছিল যা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল?

RELATED ARTICLES

Most Popular