Homeএখন খবরগা ঘেঁষেই দুই রাজ্যের সীমান্ত ! করোনা মোকাবেলায় তৎপর গোপীবল্লভপুর

গা ঘেঁষেই দুই রাজ্যের সীমান্ত ! করোনা মোকাবেলায় তৎপর গোপীবল্লভপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মোকাবিলায় একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর তারই সাম্প্রতিকতম নির্দেশ জারি করা হয়েছে শনিবার। এদিন দুপুরে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পরে উচ্চশিক্ষা দপ্তর আগামী ৩১শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ন ছুটি ঘোষনা করেছে কেবলমাত্র বোর্ডের পরীক্ষা ছাড়া। পাশাপাশি সমস্ত রকম জমায়েত, সভা সমিতি এড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। যদিও এসবের পাশাপাশি অন্যরকম উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক প্রশাসন।  কারন দু’দুটি সীমান্ত রাজ্যের গা ঘেঁষেই রয়েছে এই ব্লকের অবস্থান। বিশেষ করে এই ব্লকের প্রায় ৬০ভাগ সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ওড়িশা।

 

শনিবার তাই দিনভর ব্লকের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলিতে কোরনা সচেতনতায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরকে। এদিন ব্লকের উড়িষ্যা এবং ঝাড়খন্ডের রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া শুলিয়াপাদা এবং হাতিবাড়ি সীমান্তে করা হয় প্রচার অভিযান। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এদিন সকাল থেকে পাশের রাজ্য থেকে আসা মানুষদের করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় করনীয় বিষয় সম্পর্কে অবহিত করান। এলাকার মানুষ এবং পথচলতি মানুষদের সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া এবং কোন ব্যক্তি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসুচীতে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্রকে।

 

  • ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্লকের অন্য এলাকায় নজরদারি করা যতটাই সহজ সীমান্ত এলাকায় কাজটি ততটাই কঠিন। এই বিস্তৃত সীমান্তে অন্য রাজ্য থেকে আত্মীয় স্বজন, ব্যবসায়ী ইত্যাদি মানুষদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সেই সব মানুষদের কেউ আবার দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি জায়গায় পেশায় যুক্ত। এমতাবস্থায় কে আসছে, কে যাচ্ছে সবসময় নজর দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা তাই বাড়িতে বাড়িতে, দোকানে , বাজারে বিভিন্ন মানু্ষের কাছে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে গেছি। বলা হয়েছে ভিন রাজ্য কিংবা আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষজন এলে তাঁদের শারীরিক অবস্থান দেখার পরেই যেন মেলামেশা করেন। সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট , জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে আসা আত্মীয় স্বজনদের যতদুর সম্ভব এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর বা আধিকারিকের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে গাড়ির চালকদেরও ।
RELATED ARTICLES

Most Popular