Homeএখন খবরভাল আছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও মেদিনীপুর শহর, চিকিৎসাকর্মীদের জন্য পৃথক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র...

ভাল আছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও মেদিনীপুর শহর, চিকিৎসাকর্মীদের জন্য পৃথক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করল মেডিক্যাল কলেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত তিন দিনে নতুন করে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা নেই। সম্প্রতি মেদিনীপুর থেকে কোভিড হাসপাতালে যে দুজন গেছেন যার একজন হাওড়ার ও একজন ক্ষীরপাইয়ের তাঁরা বাদ দিলে জেলায় এই মুহুর্তে কোনও কোভিড আক্রান্ত নেই। যেহেতু হাওড়ার আক্রান্তকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হিসাবে ধরা হবেনা তাই বর্তমান জেলার বাসিন্দা হিসাবে ধরলে ক্ষীরপাই ও খড়গপুর গ্রামীনের ক্যানসার আক্রান্ত গৃহবধূ মিলিয়ে জেলার কোভিড পজিটিভ ২ এবং দুজনই কলকাতার হাসপাতালে রয়েছেন।

গত শুক্রবার খড়গপুর রেল হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন সপ্তম এবং শেষ করোনা আক্রান্ত যুবক। এই হিসাব ধরলে কোনও কোভিড রোগীর উপস্থিতিও জেলায় নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটার অথচ দীর্ঘদিন অন্য জেলায় থাকেন এরকম আরও তিনজন কলকাতার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এঁরা আক্রান্তের তালিকায় এই জেলার হলেও যেহেতু অন্য জেলার বাসিন্দা তাই ভয়ের কিছু নেই। সব মিলিয়ে ভাল আছে মেদিনীপুর।

মেদিনীপুর শহরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বা স্টেশনপাড়া এবং সংলগ্ন গেটবাজার ও বিধাননগর লাগোয়া কিছুটা অংশ কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কারন স্টেশনে আরপিএফ জওয়ানরা থাকতেন আর ক্ষীরপাইয়ের আক্রান্ত বৃদ্ধের এক ছেলে থাকতেন। এর থেকে ভয়ের কোনও কারন নেই। ক্ষীরপাইয়ের বৃদ্ধের পরিবারের সবাই কোভিড নেগেটিভ ও নতুন করে আর কোনও আর,পি,এফ জওয়ান আক্রান্ত হননি। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১৫ জন জওয়ানই নেগেটিভ। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে ১২মে বুধবার কন্টেনমেন্ট জোন মুক্ত হয়ে যাবে শহর।

অন্যদিকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ একটি পৃথক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করেছে ক্যাম্পাসের ভেতরেই।মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নবনির্মিত রাত্রিযাপন ভবনটিকে করা হয়েছে  কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত দিন দুয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থাকা হাওড়ার এক রোগীর দেহে মিলেছিল করোনা সংক্রমণ। তাঁরই সংস্পর্শে আসায় চিকিৎসক সহ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন থেকে রাখা হবে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই সমস্যা এড়াতে নিজস্ব ক্যাম্পাসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular