নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার দিনটা স্বস্তিতেই কাটল খড়গপুর রেল প্রশাসনের জন্য, বহুদিন বাদে করোনা মুক্ত দিনের স্বাদ পেলেন রেল কলোনির বাসিন্দারা। শুক্রবার রেলের জন্য কোনোও পজিটিভ কেস ছিলনা বলেই রেল প্রশাসন সূত্রে জানা গেল। গত কয়েকদিন ধরেই সমগ্র খড়গপুর শহরের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে রেল কলোনিতে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সংক্রমনের আওতায় রেলের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আরপিএফ, আধিকারিক থেকে সাধারন কর্মচারী কে নেই? এমন কি কর্মীদের সঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছিলেন তাঁদের পরিবার পরিজনও। সেই পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রেল এলাকায় র্যানডাম নমুনা সংগ্ৰহ করে তা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবে পাঠানো শুরু হয়েছে। আর প্রতিদিনই পরীক্ষার পর একের পর পজিটিভ আসছিল। কিন্তু শুক্রবার ব্যতিক্রম, কোনোও পজিটিভ আসেনি এই দিন।
রেল সূত্রে জানা গেছে ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার, রেলের পক্ষ থেকে ৯ জন মহিলা সমেত মোট ২১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সী অবধি মানুষের নমুনা পাঠানো হয় যার সবকটিই শুক্রবার নেগেটিভ এসেছে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে রেল এই দিনটা। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এক নাগাড়ে একটা দুটো এমনকি একই দিনে ১০ টা মামলাও পজিটিভ এসেছে। আমাদের মধ্যে ধারনা হয়ে যাচ্ছিল। একটা ধারনাই হয়ে যাচ্ছিল যে টেস্টের জন্য নমুনা দিলেই তা পজিটিভ রিপোর্ট আসবে। শুক্রবার অনেকদিন পর একটা দিন পাওয়া গেল যেদিন একটাও পজিটিভ নেই।
যদিও রেল বাদ দিলে খড়গপুর শহরের বাকি অংশে অব্যাহত করোনা কামড়। শহরে এদিন মোট মোট সাতজনের পজিটিভ কেস এসেছে যার মধ্যে একটি গ্রামীন এলাকার। বাকি ৬জন শহরের আক্রান্ত তালিকায় রয়েছেন। এরমধ্যে আর ২জনের কোনও হদিস মিলছেনা। এই দুজনের বাড়ি বারবেটিয়া মধুবনপল্লী বলে জানা গেছে। সম্ভবত এরা স্বামী স্ত্রী। রাত অবধি এঁদের সন্ধান মেলেনি।
এদিনের রিপোর্টে মালঞ্চার এক দম্পত্তিকে পজিটিভ বলে জানা গেছে। এঁদের দাবি ব্যক্তির দাদার প্রচন্ড শরীর খারাপ হয়েছিল। অবস্থা এতটাই সঙ্কট জনক হয়ে পড়ে তাঁকে ভুবনেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাদার চিকিৎসার জন্য সঙ্গে তাঁর ভাই ছিলেন। নিউমোনিয়া আক্রান্ত ওই ব্যক্তির মেদিনীপুরে নেগেটিভ এলেও ভুবনেশ্বরে গিয়ে পজিটিভ আসে। তারপরেই পরিবারের সবার নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। তারপরই আক্রান্ত ব্যক্তির ভাই ও ভাতৃবধূর পজিটিভ আসে।
বাকি ২জনের মধ্যে একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধা নিউ সেটেলমেন্ট এ রয়েছে। অন্য জন পেশায় মালি। মালির বাড়ি কৌশল্যা এলাকায়। এই ছটি মামলা ধরে খড়গপুর শহরে মোট ১৭৩ জন আক্রান্ত হলেন। শহরের লাগোয়া অথচ শহরের ঠিক গা ঘেঁষে আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। ৩০বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মুদি দোকানে কাজ করে। এই ব্যক্তির বাড়ি ঘাগরাতে বলেই জানা গেছে।