Homeএখন খবরজঙ্গলমহলের ২৭৫ পরিবারে ত্রান পৌঁছে দিল মেদিনীপুরের কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান

জঙ্গলমহলের ২৭৫ পরিবারে ত্রান পৌঁছে দিল মেদিনীপুরের কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। অতিমারি থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় এই চলতি লকডাউনে সমাজের প্রান্তিক মানুষের দল সবচেয়ে কঠিন সঙ্কটে। আর সেই সঙ্কটের ভয়াবহ রূপ হল খাদ্য সংকট। দিন মজুরি বা দিনগত উপার্জনের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অত্যান্তরে পড়েছেন মানুষ সেই মানুষের কিছুটা সুরাহা করতে এগিয়ে এল মেদিনীপুর শহরের কয়েকটি সংগঠন।

এই সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ যারা ধারাবাহিক ভাবে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে। বুধবার লালগড় ঘেঁষা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার প্রান্তিক গ্রামগুলিতে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সহায়তায় ভীমপুর গ্রামে ৭৫টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয় এরা।  একই ভাবেই সোমা ভৌমিক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা নিয়ে মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ শালবনী থানার কাশিডাঙ্গা ও বাঁধগোড়া গ্রামের ১০০ টি পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। সোমা ভৌমিক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন গত একবছর ধরে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে কাজ করে চলেছে। অনিশ ভৌমিক নিজের মায়ের স্মৃতিতে গড়ে তোলা এই ফাউন্ডেশন নিয়ে নিরন্তর কোনও না কাজ করে চলেন।পাশে রয়েছেন তাঁর বাবাও। এক বছর আগে অকাল মৃত্যু হয়েছিল সোমা ভৌমিকের। তাঁর স্মৃতিকে চির জাগরুক করে রাখার একটি পারিবারিক উদ্যোগ আজ অনেকটাই বড়। ফার্মাসির স্নাতক অনিশের নিজের জন্মদিনকে এভাবেই উৎসর্গ করেছেন প্রান্তিকজন বন্ধু হয়ে।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও সোমা ভৌমিক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতার পাশাপাশি এদিন মেদিনীপুর ছাত্র সমাজের নিজস্ব উদ্যোগ ছিল সংগঠন শালবনী থানার মেমূল ,গামডোবা, গোদামৌলি গ্রামে ১০০ টি পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া। ছাত্রসমাজের কোষাধ্যক্ষ কৌশিক কঁচ জানিয়েছেন, “এত বড় সঙ্কটের সময় কোনও একক ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে এই সঙ্কট মুক্তি সম্ভব নয়। চাই সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্ৰচেষ্টা। আমরা সংগঠনগত ভাবে নিজেদের যা করছি তা তো করছিই পাশাপাশি যাঁরা এগিয়ে আসছেন বা যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁদের মধ্যে একটা সমন্বয় করছি আমরা। আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতা থাকায় ত্রান দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি ও সংগঠনকে জানাতে পারছি কোথায় কোথায় জরুরি প্রয়োজন। কারন অনেক সময় অপাত্রেও দান হয়ে যায়।”

মেদিনীপুর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছেবলে সমস্ত শুভানুধ্যায়ী মানুষজনকে যাঁরা তাঁদের সাহায্য করেছেন। ছাত্র সমাজের সদস্যরা ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সোমা ভৌমিক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার অনিশ ভৌমিক,পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার সুমন্ত মোহান্তি,সার্কেল ম্যানেজার বিকাশ বর্মন,দিবর ডঙ্গিল সহ অন্যান্য ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিবৃন্দ। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার সুমন্ত মোহান্তি বলেন, “আমরা ব্যাঙ্ক মানেই যে শুধু টাকা লেনদেনের কারবার করি এমনটা নয়। বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেও ভূমিকা নিয়ে থাকি আমরা। ভবিষ্যতেও আমরা এধরনের উদ্যোগ নেব।”

RELATED ARTICLES

Most Popular