Homeএখন খবরলকডাউনে ভয়াবহ ঘাটতি রাজ্যের কোষাগারে, রাজস্ব কমার আশংকা, নিয়োগ বন্ধ, নতুন কোনও...

লকডাউনে ভয়াবহ ঘাটতি রাজ্যের কোষাগারে, রাজস্ব কমার আশংকা, নিয়োগ বন্ধ, নতুন কোনও প্রকল্প নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা: আপাতত কোনও নিয়োগ হবেনা রাজ্যে, হবেনা নতুন কোনও প্রকল্পও। করোনা আতঙ্কে ব্যাপক লকডাউনের মুখে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এরই জেরে রাজ্যে কর্ম বিনিয়োগে ভয়াবহ সংকট আসতে চলেছে এমনটাই আশংকা করা হচ্ছে। অবশ্য শুধুই রাজ্য সরকার কেন এই একই অবস্থা হতে চলেছে রাজ্যের বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও। ফলে লকডাউনের জোড়া ফলায় বিদ্ধ হতে চলেছে বাংলার যৌবন ।

লকডাউনের ভয়াবহ ধাক্কা সামলে বেসরকারি উদ্যোগপতিরা তাঁদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগে কতটা আগ্রহী হবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে লকডাউনের জেরে কল কারখানা সবই বন্ধ। বন্ধ প্রায় সব ধরনেরই ব্যবসা। আর তারই ফল হিসাবে টান পড়ছে রাজ্যের ভাঁড়ারে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত রাজ্যে নতুন কোনও নিয়োগ হবে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি আপাতত নতুন কোনও প্রকল্প চালু করা হবে না। সংকট কাটলে ফের শুরু হবে কাজ। সরকার এই মুহূর্তে কোনও গাড়ি কিনবে না। কম্পিউটার কেনাও আপাতত স্থগিত। কেনা হবে না কোনও ফানির্চার। শুধু তাই নয়, যা গাড়ি রয়েছে তা দিয়েই কাজ চালাতে হবে। কোনও গাড়ি ভাড়াও নেওয়া হবে না। এখুনি কেউ পিএফের টাকা তুলতে গেলে বেশ কিছু বাধাও রাখা হয়েছে। কেবল মাত্র শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিবাহের ক্ষেত্রেই তোলা যাবে টাকা। উপযুক্ত কারন দেখিয়েই টাকা তোলা যাবে।

তবে তেলেঙ্গানা রাজ্যের মত সরকারি কর্মচারীদের বেতনে হাত পড়বেনা বলেই রাজ্য জানিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই বেতন পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য খাতে খরচ বন্ধ করা হবে না বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে রাজ্যে ভাঁড়ারে টান পড়ছে। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বিপুল রাজস্ব ঘাটতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ কথা জানিয়ে রাজস্ব ঘাটতি এবং জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের যে বিপুল বকেয়া আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহামারি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মত রাজ্যের বকেয়া টাকার একটা বড় অংশ মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বাকিটাও দ্রুত মিটিয়ে দেবেন বলেই কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে নতুন নিয়োগ বলতে কী বলা হয়েছে? প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে যাঁরা ইতিমধ্যেই শিক্ষকতার পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন কিন্তু ফল বের হয়নি। একই ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সহ একাধিক দপ্তরে যে সব নিয়োগ মামলা ইত্যাদি কারনে থমকে রয়েছে তাঁদের কী হবে? নতুন নিয়োগ বলতে কি তাঁদেরও বোঝানো হয়েছে নাকি যে সব পদে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারির কথা ছিল বা বিজ্ঞপ্তির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল সেই পদের কথা বলা হয়েছে ? এখুনি তা পরিষ্কার হয়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular