Homeএখন খবরকরোনায় কেড়ে নিল প্রাণ! মৃত্যু হল ইসলামপুর পুরসভার আধিকারিকের

করোনায় কেড়ে নিল প্রাণ! মৃত্যু হল ইসলামপুর পুরসভার আধিকারিকের

ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ রাজ্যে যে হারে ক্রমশ তার আধিপত্য বিস্তার করছে তাতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি থেকে নেতা-মন্ত্রী প্রত্যেকেই এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। অনেকক্ষেত্রেই আবার করোনার সাথে যুদ্ধে হেরে প্রাণ দিতে হচ্ছে। এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো ইসলামপুর পুরসভার এক আধিকারিকের। শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জের একটি করোনা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে মৃত ওই আধিকারিক গৌতম বর্ধন কলকাতার পল্লীশ্রী এলাকার বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন যাবত জ্বরে ভুগছিলেন ওই পুর আধিকারিক। এরপর চিকিৎসকে পরামর্শ মতো করোনা পরীক্ষা করান তিনি। গত ১৮ই জুলাই লালার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়ার পরে তাঁকে রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয়৷ এরপর শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই আধিকারিকের মৃতদেহ সৎকারের জন্য রায়গঞ্জ থানার আইসি, রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান, রায়গঞ্জের বিডিও কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে ১০ জনই রায়গঞ্জ থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের প্রত্যেককেই শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি এদিনই করোনা হাসপাতালে কর্মরত ১৬ জন নার্স, ১ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ২ জন ফার্মাসিস্ট-সহ মোট ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সন্দেহে ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের ফিভার ক্লিনিকে লালা রসের নমুনা দিয়েছেন।

এছাড়া রায়গঞ্জ থানার ১২ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার লালারসের নমুনা দিয়েছে ফিভার ক্লিনিকে। তবে যে সমস্ত রোগীরা করোনা পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই তাদের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী হাসপাতালে না রেখে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত ক্রেতা সুরক্ষার নয়া ভবনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী হলেও এখনও রায়গঞ্জে পুর আধিকারিক সহ এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তবে রাজ্যে যে হারে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন তাতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দিনে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular