Homeএখন খবরদিল্লিতে মর্গ উপচে লাশ জমছে করিডোরে, লাশ নিতে আসছেনা কেউই

দিল্লিতে মর্গ উপচে লাশ জমছে করিডোরে, লাশ নিতে আসছেনা কেউই

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রিয়জনের মৃতদেহ ফিরে পেতে মানুষ কী না করে? বিদেশ বিভুঁই থেকে নিঃস্ব হয়ে নিজের মাটিতে ফিরিয়ে আনে দেহ। নিজের মাটিতে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছেটাই মৃতের এক মাত্র শেষ অধিকার। কিন্তু হায়! করোনা বদলে দিয়েছে সবই। প্রিয়জনের মৃতদেহ ঘরে আনা তো দুরের কথা একবার শেষ দেখাও দেখতে যায়না কেউ। মর্গ জুড়ে তাই মৃতের পাহাড়। আর পাহাড়ের চূড়া স্পর্শ করেছে মর্গের ছাদ, এবার মর্গ ছাড়িয়ে তাই করিডোরেও সারি সারি লাশ, যেদিকেই দেখা যায় লাশ! দিল্লির লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ কোভিড হাসপাতালের মর্গের চিত্র এমনটাই। মর্মান্তিক অথচ বাস্তব, ভয়াবহ এই ছবি এখন চমকে দিচ্ছে দেশের রাজধানীকে।

    তবে এ চিত্র শুধুই দিল্লির একার নয়, তবে এই চিত্র নতুন নয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই একই ছবি ধরা পড়ে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে। সেখানেও দেখা যায়, করোনা ওয়ার্ডে শুয়ে রয়েছেন আক্রান্তরা। তাঁদের পাশেই বিভিন্ন বেডে কালো প্যাকেটে মুড়ে রাখা আছে সারিবদ্ধ লাশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় নেটিজেনদের মধ্যে। চলতি সপ্তাহে মুম্বইয়ের আরেক হাসপাতালে প্যারামেডিক্যাল কর্মীর মৃত্যুতেও বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের বাকি কর্মীদের।

প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর ফলে দিনে দিনে বাড়ছে মরদেহের চাপ। অন্যদিকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। সাম্প্রতিককালের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত সাড়ে সাত হাজারের কাছাকাছি। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৫ জন। দিল্লিতে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। এপর্যন্ত ১৬ হাজার করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৮ জন।

দেহ যে সব্বাই নিতে চাইছেনা এমনটা নয়,কেউ কেউ চাইছেন প্রিয়জনের অন্তিম সৎকার করতে কিন্তু পাশে কেউ নেই। কে যাবে শ্মশান বন্ধু হয়ে, পোড়াতে কিংবা কবর দিতে? ফলে দেহ আনারই সমস্যা। কোনও চালক মৃতদেহ বহন করতে রাজি হচ্ছেনা। দেহ নিতে না আসায় সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলার জন্য উপযুক্ত লোকেরও অভাব। শ্মশানেও দেহ পোড়াতে চাইছে না কেউ। কারণ সেই রোগী মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের মর্গে ৪০টি দেহ রাখা যায় কিন্তু এই মুহূর্তে মৃতদেহ রয়েছে ১০৮টি ফলে মাটিতেই স্তূপের আকারে করোনায় মৃতদের দেহ ফেলে রাখতে বাধ্য হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে ঘরে বসে তাই মানুষের একটাই প্রার্থনা, অন্তত করোনায় মৃত্যু না হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular