Homeএখন খবরনমুনাই দেয়নি বলে দাঁতনের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন খাতায় 'করোনা আক্রান্ত' যুবক

নমুনাই দেয়নি বলে দাঁতনের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন খাতায় ‘করোনা আক্রান্ত’ যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা: জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের খাতায় বলা হচ্ছে যুবক পজিটিভ কিন্তু যুবকের দাবি সে নাকি নমুনাই দেয়নি। যদি নমুনাই দেয়নি তা’হলে পজিটিভ বা নেগেটিভ হওয়ার প্রশ্ন আসে কী করে? ঘটনায় তোলপাড় স্বাস্থ্য দপ্তর ‘দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি’ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যুবক মিথ্যা বলছে নাকি নমুনা সংগ্রহের কোথাও গাফিলতি হয়েছিল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব চেয়ে বড় প্রশ্ন যদি যুবক নমুনাই দেয়নি তবে তালিকায় তার নাম ঠিকানা ফোন নম্বর উঠে এল কি করে?

ঘটনা দাঁতন থানার খন্ডরুই গ্রামের। ২১বছরের এক যুবক দাবি করেন, বুধবার রাতে একজন ফোন করে তাকে জানায় যে তার পজিটিভ এসেছে। তাকে করোনা হাসপাতালে যেতে হবে। যুবকের বক্তব্য, এই কথা শোনার পর আমি আকাশ থেকে পড়ি। কারন আমি তো নমুনাই দেইনি। তাহলে আমার করোনা পজিটিভ এলো কীভাবে?’ যুবক এমনটা দাবি করলেও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বুধবারের তালিকায় যুবকের নাম রয়েছে বলেই জানা গেছে এবং বলা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের খন্ডরুই গ্রামীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোমবার, ৫ আগস্ট নমুনা সংগ্ৰহ হয়েছে ওই যুবকের। সেই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালের ভাইরোলজি ল্যাবে।

যুবকের কাছ থেকে জানা গেছে সে এবং তার কয়েকজন বন্ধু চেন্নাই তে হোটেলে কাজ করত। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ফিরে আসে । এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় চেন্নাই ফিরতে চায়। মালিক তাদেরকে জানায় করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। তখন তারা স্থানীয় নেতা একজনের মারফৎ গ্রামীন হাসপাতালে নাম লিখিয়েছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে ঠিক করে চেন্নাই যাবেনা তাই নমুনা দিতে যাবেনা এবং সে নমুনা দিতে যায়নি। ওর বন্ধুরা অবশ্য দিয়েছিল। ২ বন্ধুর পজিটিভ আসে। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদেরকে রাতেই শালবনি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দুজনের সঙ্গে তারও পজিটিভ আসে।। কিন্তু সে যখন নমুনাই দেয়নি তখন পজিটিভ এল কী করে?

যুবকের বক্তব্য বুধবার রাতেই আমাকে কেউ ফোন করে বলেন, ‘তোমার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। তোমাকে করোনা হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু আমি তাদের জানিয়ে দিয়েছি যেহেতু আমি নমুনা দিতেই যাইনি তাই হাসপাতালে যাবনা। এরপর অবশ্য আর কেউ আমাকে ফোন করেনি।”
প্রশ্ন হচ্ছে যুবক কী সত্যি সঠিক কথা বলছে নাকি কোনোও চালাকি করছে?

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এমনটা হতে পারে কেউ ওই যুবকের নাম , ফোন নম্বর দিয়ে নিজের নমুনা দিয়ে আড়াল থেকে জানতে চেয়েছে সে পজিটিভ কিনা। যদি এমনটা হয় তাহলে ওই ব্যক্তির জেল হওয়া উচিৎ।” ওই আধিকারিক আরও বলছেন, ‘ নমুনা তো কেউ দিয়েছে না হলে নমুনা আসবে কোত্থেকে? এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওই যুবক নমুনা দিয়েছেন কী না, সেটা আমরা খুঁজে বের করছি।’

খড়গপুর মহকুমার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ” প্রয়োজনে ওই যুবকের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে যুবক পজিটিভ কিনা। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular