Homeএখন খবরসারা দেশে নজির সৃষ্টি করে ঘাটালে স্কুসল খুলে দিলেন প্রধান শিক্ষক, রাজ্য...

সারা দেশে নজির সৃষ্টি করে ঘাটালে স্কুসল খুলে দিলেন প্রধান শিক্ষক, রাজ্য জুড়ে হৈচৈ কান্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা: কবে খুলবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ঠিক করতে পারেনি না কেন্দ্র সরকার, না রাজ্য! মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা দপ্তর, ইউজিসি নাকানি চোবানি খাচ্ছে এটা স্থির করতে যে, ঠিক কবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া যাবে স্কুল। এরই মধ্যে সারা দেশে নজির তৈরি করে স্কুল খুলে দিলেন ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। গোটা ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দপ্তর এবং ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দাসপুর পুলিশ।

বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের হাট সরবেড়িয়া বিধান চন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয়ে। রীতিমত ছাত্রছাত্রীদের বসিয়ে ক্লাস করানো হল কয়েকটি বিষয়ে। যদিও স্কুলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনেই ক্লাশ করানো হয়েছে পড়ুয়াদের। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই বসানো হয়েছিল তাদের। কিন্ত প্রশ্ন উঠেছে সরকারি বিধি নিষেধ, অতিমারি আইন লঙ্ঘন করে এই কাজ কী করে করতে পারেন একজন প্রধান শিক্ষক?

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক বলেন, ‘বেশকিছুদিন ধরেই ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে একটা অনুরোধ আসছিল। অন্তত দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসটা যদি চালু করা যায়! তাই আমরা পরীক্ষা মূলক ভাবে এদিন দূরত্ব বজাই রেখে, সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করে পরীক্ষা মূলক ভাবে ক্লাস করে দেখছিলাম। তিনি বলেন, ১৫০ জন মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে জনা ৫০ এসেছিল। শিক্ষকরা তাদের পাঠদান করেছেন। এতে কোন অন্যায়ের কিছু দেখছিনা।’

যদিও প্রশ্ন উঠেছে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ কী ছেলেমেয়েদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করা যায়? যেমনটা বলছেন তৃনমূল শিক্ষা সেলের রাজ্য নেতা সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোটা দেশ, রাজ্য, ইউজিসি তাবড় তাবড় শিক্ষাবিদরা যখন বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তখন পরীক্ষা নিরীক্ষার ভার টা তিনি নিজের হাতে তুলে নিলেন কেন? এটা মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ন কাজ। প্রশাসনের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ঘাটাল মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, ” জীবনের চেয়ে শিক্ষার দাম কি বেশি? ছাত্রছাত্রীদের কিছু হয়ে গেলে তার দায় কে নেবে? আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনায় আকাশ থেকে পড়েছেন জেলা বিদ্যালয়য় পরিদর্শক চপেশ্বর সর্দার বলেন, ” আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ঘটনা জানার পর স্কুল বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এধরণের সিদ্ধান্ত নিলেন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনা হচ্ছে গোটা জেলায় করোনা আক্রান্তের অন্যতম হটস্পট হয়ে রয়েছে এই দাসপুরই। এমনকি এই এলাকাতেই প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে দাসপুরে মৃত্যুও হয়েছেন বেশ কয়েকজনের। এই পরিস্থিতিতে যেখানে অতিমারি চলছে এবং মহামারী আইন বলবৎ রয়েছে সেখানে এই কাজ কী করে করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুদীপ ঘোষাল।

RELATED ARTICLES

Most Popular