Homeএখন খবরদু'বছরে দুবার ভেঙে পড়ল কন্যাশ্রী সেতু, ক্ষোভে ফুঁসছে দাসপুর

দু’বছরে দুবার ভেঙে পড়ল কন্যাশ্রী সেতু, ক্ষোভে ফুঁসছে দাসপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের ভেঙে পড়ল কন্যাশ্রী সেতু। শনিবার বিকালেই ব্যাপক কচুরিপানা আর প্রচন্ড জলের চাপে কোমর ভেঙে দ য়ের মত হয়ে গেছিল সেতুটি।রবিবার সকালেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তা। দাসপুর ২ ব্লকের চক সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের গোছাতি আর গৌরা, দাসপুর ১ ব্লকের পাঁচবেড়িয়া এই তিনটি গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুসছেন পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

তাঁদের বক্তব্য কাটমানি খাওয়ার জন্যই নিম্নমানের কাজ। ১ বছরের মধ্যে যখন প্রথমবার সেতু ভেঙে পড়ে তখনই দেখা গেছিল বহু জায়গায় নিম্ন মানের কাঠ অথবা বাঁশ ব্যবহার করে রঙ করে দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়বার সেতু ভাঙার পর মানুষের তাই একটাই আওয়াজ আর কাঠের সেতু করতেই দেওয়া হবেনা।

তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০হাজার মানুষ যার হাজার পাঁচেক কন্যা সেতুর এপার ওপার গোটা পাঁচেক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে যাতায়ত করে। রূপনারায়নের উপনদী কিংবা খাল পলাশপাই। সেই খালের ওপরই ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় দেড়শ ফুটের কাঠের সেতু। কন্যাদের কথা মাথায় রেখে সেতুর নাম কন্যাশ্রী। ২০১৮ সালে ১৭ই সেপ্টেম্বর সেতুর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তৎকালীন সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী। ১বছর পের হয়নি, পরের বছর আগস্টে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল সেতুটি। এরপর সেই সেতু মেরামত করার ফের একবছরের মাথায় পুরোপুরি ভেঙে পড়ল আরেকবার।

চক সুলতান গ্রামের সত্তরোর্দ্ধ তপন ভূঞা কিংবা রোহিনী মান্নারা জানিয়েছেন, “বছর বছর সেতু ভেঙে পড়া যেন বাৎসরিক পূজার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবার সেতু মেরামতি হবে আর কারও কারও করে খাওয়ার জায়গা হবে। আমরা আর কাঠের সেতু বানাতে দেবনা।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত মাল জানিয়েছেন, ” প্রচুর কচুরিপানা ভেসে এসে নিচের খুঁটিগুলিতে আটকে যায়। যার উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১০ফুট। এদিকে টানা বৃষ্টিতে জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওই পাহাড় প্রমান কচুরিপানা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।এরপরই জলের প্রচন্ড চাপে কচুরিপানা সমেত সেতুকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেতুটি ভেঙে পড়ে। আমরা স্থানীয় জনতার সঙ্গে মিলিতভাবে কচুরিপানা সরানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়ে উঠলনা।”

সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেতুটিকে ফের মেরামত করে দাঁড় করানো হবে কিন্তু স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য কোনও মতেই কাঠের সেতু নির্মাণ করতে দেবেননা তারা। গোছাতি গ্রামের বাসিন্দা গনেশ মান্নার বক্তব্য, “আমরা কোনো ভাবেই আর কাঠের সেতু করতে দিচ্ছিনা। প্ৰয়োজনে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলব কংক্রিটের সেতুর দাবিতে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular