Homeএখন খবরশুধু কথা নয়, কাজে করে দেখালেন ঘাটালের সাংসদ, নিজের কার্যালয় তুলে দিলেন...

শুধু কথা নয়, কাজে করে দেখালেন ঘাটালের সাংসদ, নিজের কার্যালয় তুলে দিলেন করোনা আক্রান্তদের জন্য

শশাঙ্ক প্রধান : বাগাড়ম্বর রাজনীতির যুগ, কথা বেশি, কাজ একেবারেই কম। যদিও বা কাজ হয় তবে তা নিক্তিতে মাপা মুশকিল। ব্যতিক্রম তিনি, ঘাটালের সাংসদ, অভিনেতা দেব। করোনা ক্রান্তি কাল থেকেই বলে চলেছেন কাজের কথা, করে চলছেন কাজ। রাজনীতির কূটকচালির বাইরে গিয়ে সোজা সাপ্টা ব্যাট চালিয়েছেন লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক থেকে করোনা আক্রান্ত মানুষের পক্ষে। সেরকমই আরেক নজির তৈরি হল সোমবার।

এদিন নিজেই ট্যুইট করে জানালেন, ‘ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভা ক্ষেত্রের অন্তর্গত ডেবরাতে অবস্থিত তাঁর সাংসদ কার্যালয়টি করোনা কালে উৎসর্গ করা হল করোনা আক্রান্তদের জন্য।.” শুধু ট্যুইট নয়, এদিনই সেই ৬ শয্যার সেফ হোমের উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। দেবের সাংসদ প্রতিনিধি সিতেশ ধাড়া, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ আলোক আচার্য্য, বিবেকানন্দ মুখার্জী সহ এক ঝাঁক নেতার উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয়ে গেল সোমবার।

জানা গেছে ৫টি শয্যা থাকছে এই সেফ হোম বা আইসোলেশন কেন্দ্রটিতে। উপসর্গহীন যে ব্যক্তিদের বাড়িতে আলাদা করে থাকার উপায় নেই, যাঁরা ডেবরার সরকারি সেফহোমে স্থান না থাকার কারনে জায়গা পাবেননা তাঁদের জন্যই এখানে বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। পুরোভবনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকছে। থাকছে অক্সিমিটার আর প্রয়োজনে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও।
সাংসদ প্রতিনিধি সিতেশ ধাড়া জানান, “ক্রমবর্ধমান সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে সাংসদের এই সিদ্ধান্ত আমাদের আপ্লুত করে দিয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে নিজেদের নিবেদন করছি এই মহান যজ্ঞে। যদি কেউ স্থানাভাবে ভোগেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।”

জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, “এমন যুগান্তকারী ভাবনা দেবই ভাবতে পারেন। শুধু ভাবনা নয়, তাঁকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। আমাদের ভাল লাগছে, গর্ব হচ্ছে যে এরকম একজন মানুষ আমাদের দলের সাংসদ।”
ট্যুইটারে বিনয়ী দেব বলেছেন,”আমি কিছুই করিনি শুধু আমার কার্যালয়কে আইসোলেশন ঘরে বদলে দিয়েছি। আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় গুলি এখন মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার।”

এর আগে নেপাল সহ অনেক জায়গায় আটকে পড়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে এনেছেন দেব। নিজের সাংসদ কোটার টাকা বরাদ্দ করেছেন করোনা মোকাবিলায়। তারপর এই মাস্টার স্টোক! দেবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারন মানুষ। ডেবরায় যে হারে সংক্রমন বাড়ছে তাতে এই উদ্যোগ মানুষের খুবই উপকারে লাগবে , এমনই মত তাঁদের।

RELATED ARTICLES

Most Popular