Homeএখন খবরপ্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ডেবরায় করোনা যোদ্ধাদের সম্মানিত করলেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ডেবরায় করোনা যোদ্ধাদের সম্মানিত করলেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডেবরা: যাঁরা এক সময় দেশের সীমান্ত রক্ষা কিংবা বিদেশি শত্রুর মোকাবিলায় নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন তাঁরাই আজ সম্বর্ধিত করলেন অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াকু সৈনিকদের। গত ১বছরে সারা পৃথিবীর সাথে এদেশও পরিচিত হয়েছে এক নতুন শব্দের সাথে, ‘করোনা যোদ্ধা!’ সীমান্ত পেরিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া কোভিড- নাইন্টিন শত্রু।

অমিতবিক্রম সেই ভাইরাস শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছেন আমাদের দেশের চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, নার্স, পুলিশ, প্রশাসন। শুধু লড়ছেন না, প্রানও দিয়েছেন তাঁরা। এঁদেরকেই সম্বর্ধনা জানালেন দেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ডেবরা স্থিত সংগঠন এক্স সার্ভিসম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত করোনা যোদ্ধাদের সম্মান প্রদানের এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হল ডেবরা অডিটোরিয়ামে। যারা বীর সৈনিকের মতো নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে অতিমারীর সময় নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করেছেন , মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন সেই ডাক্তার, নার্স, আশা কর্মী, পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (প্রতিনিধিমূলক) পুষ্পস্তবক স্মারক ও শংসাপত্র দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়।

ডেবরা এক্স সার্ভিসম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস বলেন, ‘ আমরা নিজেরা সৈনিক জীবন যাপন করেছি তাই বুঝতে পারি কি কঠিন নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর শৃঙ্খলার সাথে কাজ করেছেন আমাদের এই করোনা সেনানীর দল। তাঁদের সম্মানিত করতে পেরে গর্বিত আমরা।” দাস আরও বলেন, ‘আমাদের সংগঠন সাধারণ ভাবে দু’ধরনের কাজ করে থাকে। প্রথমতঃ অবসর প্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পেনশন, অবসরকালীন সুবিধা যেমন ক্যান্টিন স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি প্রদান করে থাকি। আর দ্বিতীয়ত, এলাকার আগামী প্রজন্মকে সেনায় যুক্ত হওয়ার জন্য মোটিভেশন এবং তৈরি করার কাজ করে থাকি। তারমধ্যে থেকে এই নতুন কাজ করতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।”

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিশ্বজিৎ ভূঁইয়া বলেন, ” আমরা অবসরপ্রাপ্ত সেনা মানে এমনটা নয় যে আমরা আমাদের দেশ সেবার কাজে অবসর নিয়েছি। একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর অঙ্গ হিসাবে আমরা সমাজকল্যাণমূলক কাজ যেমন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ গ্রহণ, বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক কাজ, বিপর্যয় মোকাবিলায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকি। সমাজকল্যানের সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা আমাদের প্রিয় করোনা সৈনিকদের সম্মানিত করলাম।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, মহকুমা পুলিশ শাসক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, ইন্ডিয়ান এক্স সার্ভিসেস লিগের সভাপতি প্রমুখরা। দূর দূরান্ত থেকে এসেছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবার বর্গ। অনুষ্ঠানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular