Homeএখন খবরপ্রশ্ন উঠছে করোনা ব্যবসা নিয়েই, গুজরাটে নেগেটিভ হয়ে আসা যুবক, ডেবরায় পজিটিভ...

প্রশ্ন উঠছে করোনা ব্যবসা নিয়েই, গুজরাটে নেগেটিভ হয়ে আসা যুবক, ডেবরায় পজিটিভ হয়ে মৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা: মৃতের পরিবার জানাচ্ছে গুজরাটে করোনা পরীক্ষা করার পর আ্যম্বুলেন্সে তোলা হয়েছিল তখন করোনা পজিটিভ ছিলনা। শুধু বুকের এক্সরেতে কিছু সংক্রমন ছিল। সেই অবস্থায় ২৮বছরের ছেলেকে নিয়ে ডেবরার রাধাকান্তপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বাবা। সাড়ে চারদিনের রাস্তা পেরিয়ে আ্যম্বুলেন্স যখন ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছায় ছেলে তখন মৃত। পরে হাসপাতালে যখন যুবকের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হয় তখন মৃত যুবক করোনা পজিটিভ!

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে যে সত্যি কি করোনা অতিমারি দূর করতে চাইছে মানুষ নাকি এর অন্তরালে চলছে নেগেটিভ পজিটিভ বানানোর খেলা। পাঁচ দিন আগে যে যুবকের নেগেটিভ হল যে যুবক আ্যম্বুলেন্সে করে বাকি পথ এল সেই যুবকের পথের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ কোথায়? যুবকের বাবা জানিয়েছেন, ‘গুজরাটেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ছেলে বলেছিল, এখানে থাকতে ভাল লাগছেনা, আমাকে নিয়ে যাও।’

একমাত্র ছেলের আর্তি শুনে বাবা ৭০হাজার টাকা দিয়ে আ্যম্বুলেন্স ভাড়া করে ছেলেকে আনতে যায়। ওখানে যাওয়ার পর ছেলের শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেখানে কোভিড পাওয়া যায়নি। শুধু বুকে সংক্রমন ধরা পড়েছিল। ঘটনা হল কোভিড পজিটিভ থাকলে ছেলেকে আনার ছাড়পত্র পাওয়া যেতনা। আর যদি কোভিড পাওয়াই যেত তবে নিয়ম অনুযায়ী ওই রাজ্যেই তার চিকিৎসা করাতে হয় এবং নেগেটিভ হওয়ার পরই রাজ্য ছাড়ার অনুমতি মেলে। গুজরাট থেকে আসা প্রতিটি সীমান্তে পুলিশকে সেই ছাড়পত্র দেখাতে হয়। সুতরাং ধরে নেওয়া হচ্ছে যুবক কোভিড নেগেটিভ ছিল।

যদি তাই হয় তবে রাস্তায় যুবকের পজিটিভ হওয়ার সুযোগ কোথায় যদি না যুবকের বাবা ও চালকের মধ্যে কেউ পজিটিভ হয়ে থাকে। সেটা ওই দুজনের পরীক্ষা হওয়ার পরই পরিস্কার হয়ে যাবে। অথচ যুবকের শুরু থেকেই যে লক্ষন পাওয়া গেছিল তা কোভিডের সঙ্গে মিলে যায়। তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় এবং যুবক ডেবরায় ঢোকার পর মারা যায়। পরে এখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া যায়।

উত্তর একটা আছে, একমাত্র আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় কোনও ব্যক্তি নেগেটিভ হয়েও পরে পজিটিভ হতে পারে কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন থাকে যদি তাই হয় তবে একজন অসুস্থ ব্যক্তি যিনি চারদিনের পথ আ্যম্বুলেন্সে যাবেন তাঁর আ্যন্টিজেন পরীক্ষা হবে কেন যদি জানাই থাকে যে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা যথেষ্ট নয়! রাষ্ট্রের কাছে, ক্ষমতার কাছে একটা মানুষ একটা সংখ্যা মাত্র কিন্তু রাষ্ট্রের ভুলে মানুষের জীবন চলে যায় সে যে তার বাবা মার একমাত্র সন্তান এটা ক্ষমতা কবে বুঝবে?

RELATED ARTICLES

Most Popular