Homeএখন খবরএবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মহিলা কনস্টেবলের মৃত্যু, মৃত আরেক তরুণীও

এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মহিলা কনস্টেবলের মৃত্যু, মৃত আরেক তরুণীও

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের ডেঙ্গির নাম ধরতে নেই। খাতায় কলমে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ডেঙ্গি কথাটাই লেখেনা । কারন রাজ্য সরকার চায় ডেঙ্গিতে মৃত্যুর হার কম করে দেখাতে। কিন্তু তাতে ডেঙ্গির প্রকোপ কমেনা। শীত পড়তে চললেও কমছেনা ডেঙ্গি আক্রান্তর ঘটনা। কয়েক দিন আগেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পৌর অধিকারিকের এবার মারা গেলেন এক মহিলা কনস্টেবল যিনি ১১দিন আগে মা হয়েছিলেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার রাতে আরও এক তরুনীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতেই। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুই তরুণীর। মঙ্গলবার গভীর রাতে শহর ও শহরতলির দুই নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই মহিলার। মৃতদের নাম রুনু বিশ্বাস সরকার (২৮) এবং কেয়া গোস্বামী (২৬)। এদিকে শীতের সূচনা হলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।জানা গেছে মৃত রুনু বিশ্বাস সরকার কলকাতা পুলিশের মহিলা কনস্টেবল পদে ছিলেন। তিনি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় কর্মরত ছিলেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাগুইআটি উদয়নপল্লির বাসিন্দা রুনু ১১ দিন আগেই জন্ম দিয়েছিলেন সন্তানের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে  কালীপুজোর আগের দিনই তিনি বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেন। যদিও তাঁর মৃত্যুতে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন রুনু মণ্ডলের দাদা প্রদীপ ঘোষ। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, জ্বর নিয়ে রুনুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু তাঁকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। এমনকী পরিবারকে না জানিয়েই রুনুর ডেলিভারি করানো হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও রুনুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিবারকে কিছুই জানাননি চিকিৎসকরা। এর দু-তিনদিন পরই থেকেই রুনুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রুনুকে সেখানে রাখতে চায়নি। এরপরই তাঁকে বাইপাসের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। সেখানে ৩০ বোতল রক্ত দেওয়ার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতেই মৃত্যু হয় রুনুর।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে হাওড়ার সাঁতরাগাছির রামকৃষ্ণ লেন এলাকার বাসিন্দা কেয়া গোস্বামীও জ্বরে ভুগছিলেন। ভাইফোঁটার দিন থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সোমবার এলাকার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গুর উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, তিনদিন আগেই ডেঙ্গুতে আক্তান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার পি কে রায়চৌধুরি লেনের বাসিন্দা দশ বছরের এক বালিকার।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এর আগে উত্তর হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকা ও মালিপাঁচঘরার ঘুসুড়িতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গুতেই যে মৃত্যু, তা স্বীকার করেনি। হাওড়া পুরসভাও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেনি।  গত তিনদিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কলকাতা পুরসভার কর মূল্যায়ন দপ্তরের এক আধিকারিক শান্তনু মজুমদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকেও ডেঙ্গিতে তাকেও প্রাণ হারাতে হয়। 

RELATED ARTICLES

Most Popular