অশ্লেষা চৌধুরী: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আর এরই মধ্যে কর্মী বা সমর্থক বা বিভিন্ন নেতৃত্বদের নানান কর্মকাণ্ডে ঘুম উড়ছে শাসক দলের। একের পর এক প্রভাবশালী নেতারা বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে ফের গোষ্ঠী কোন্দল। আর এই কোন্দল ঘিরে উত্তাপ ছড়াল দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের চুলকানি বাজার এলাকায় ফারুক মণ্ডল এবং মজিবর রহমানের দুই গোষ্ঠীর সমর্থকেরা জমায়েত হয়। সেই জমায়েত কিছুক্ষণের মধ্যেই হিংসায় পরিণত হয়৷ দুই পক্ষই বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় দুটি বাইক ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাতেও চলে পুলিশের পাহারা। এলাকায় চাপা উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এলাকায় মোতায়ন করা হয় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই কোন্দল যখন ব্যাপক সংঘর্ষের রূপ নেয়, সেই সময় চুলকানি বাজার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই গোষ্ঠীর প্রচুর সমর্থক জমা হয়। জমায়েত সরাতে পুলিশ লাঠিচার্য করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উভয় পক্ষের মোট ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনায় এক জন আহত হয়। বর্তমানে তিনি তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে, চলছে পুলিশি টহলদারি, সেই সাথে ধরপাকড়।