Homeএখন খবরদিঘার পথে দুর্ঘটনায় একের পর এক গাড়ি, রাস্তায় মাকে হারালো তিন বছরের...

দিঘার পথে দুর্ঘটনায় একের পর এক গাড়ি, রাস্তায় মাকে হারালো তিন বছরের শিশু, আহত ১০ পর্যটক

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিঘার রাজপথে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পথের মধ্যেই মা কে চিরদিনের জন্য হারাল তিন বছরের এক শিশু। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ওই মহিলার মৃত্যুর পাশাপাশি তাঁর রক্তাক্ত শিশুর সাথে আহত হয়েছেন ১০ জন পর্যটক সহ ১২ জন। দুর্ঘটনার কবলে ৩টি প্রাইভেট কার এবং একটি লরি। প্রাইভেট কার গুলি সবই পর্যটকদের।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ১১৬ বি জাতীয় সড়কের ওপর হেঁড়িয়ার ঠাকুরনগর পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বছর তেত্রিশের সানু বিবির বাড়ি উওর চব্বিশ পরগনা মিনাখাঁ থানা এলাকায় । দুর্ঘটনায় মহিলার তিনবছরের শিশুপুত্র ছাড়াও আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী।
পুলিশ আরও জানিয়েছে দিঘাতে ছুটি কাটিয়ে কলকাতা হয়ে মিনাখাঁ বাড়ি ফিরছিলেন ওই পরিবারটি। ওই সময় উল্টো দিক থেকে আসা দিঘাগামী একটি মাছবোঝাই লরি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সোজাসুজি ধাক্কা মারে তাঁদের একটি প্রাইভেট কারটি কে। একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ওই প্রাইভেট কারটির পেছেনেই ছিল আরও দুটি প্রাইভেট কার। পর পর তারাও এসে ধাক্কা মারে প্রথমে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই জোরালো ছিল একটি প্রাইভেট কার ছিটকে পাশের নয়ান জুলিতে পড়ে যায়। একটি গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন কয়েকজন পর্যটক।

প্রকান্ড শব্দ হওয়ায় আশেপাশের মানুষজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তাঁরাই প্রথমে দুর্ঘটনাগ্রস্ত চারটি গাড়ি থেকে আহতদের বের করে আনেন৷ খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনার স্থলে আসে হেঁড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হেঁড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় মহিলার।
অন্যদিকে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজট তৈরি হয় জাতীয় সড়কের ওপর। পুলিশের চেষ্টায় পরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। পুলিশ জানিয়েছে নিহত মহিলা এবং আহতদের সিংহভাগই পর্যটক।

গত কয়েকদিন ধরেই দিঘায় উপচে পড়া পর্যটকদের ভিড়। অনেকেই গন পরিবহন এড়ানোর জন্য প্রাইভেট কার ব্যবহার করছেন যার ফলে দিঘা-কলকাতা সড়কে ব্যাপক যান চলাচল করছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ড্রাইভিং বা রাশ ড্রাইভিং চলছে। অনেক ক্ষেত্রেই নূন্যতম দূরত্ব বজায় না রেখেই গাড়ি ছোটাচ্ছেন পর্যটকদের দল। তারই মাশুল দিয়েছে শনিবারের দুর্ঘটনা।

এই গাড়ি গুলো এতই কাছাকাছি ও দ্রুত গতিতে ছিল যে প্রথম গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর পেছনের গাড়ি গুলি নিজেদের নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে রবিবার থেকেই জাতীয় সড়কের ওপর গাড়ি গুলির ওপর নজরদারি আরও কড়াকড়ি করা হবে। রাশ ড্রাইভিং হলে আটক করা হবে ও মামলা করা হবে। পর্যটক বলে রেহাই দেওয়া হবেনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular