Homeএখন খবরদিঘায় বানিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগ মাত্র ৬হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি...

দিঘায় বানিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগ মাত্র ৬হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেই গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, বললেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা: না, এবারও তেমন কিছুই হলনা। কয়েকটি হোটেল প্রতিষ্ঠার আশ্বাস, অল্প কিছু বিনিয়োগ ছাড়া তেমন কিছুই মিললনা দিঘায় অনুষ্ঠিত বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভ-২০১৯থেকে। বানিজ্য সম্মেলনে রাজনীতি করতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী ৩৪বছরের হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল, উইপ্রো, ইনফোসিস সহ একগুচ্ছ শিল্প প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে অস্বীকার করে বলেছিলেন বামেরা কিছুই করেনি। কিন্তু সেরকম আর একটাও তিনি করতে পারলেননা এই বানিজ্য সম্মেলনেও ।বড় বিনিয়োগ আসছেনা জেনেই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হল, বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মাধ্যমেই শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বৃহস্পতিবার ‘বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভ ২০১৯-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মমতা বলেছন,”আমরা গ্রামীণ শিল্পকে আরও বেশি তুলে ধরতে চাইছি।শুধু বড় শিল্প নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভাবনা আমাদের রাজ্যে খুবই বেশি। তাকে কাজে লাগাতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিনও সেই পুরোনো কথাই বলতে গিয়ে  বলেছেন,

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
“গত ৭-৮ বছরে এমএসএমই-তে যা হয়েছে তা অভাবনীয়। অন্তত ২ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছে। ৪০ লক্ষ ইউনিট তৈরি হয়েছে।প্রায় ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এই শিল্পে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার ‘দিঘাশ্রী’ কনভেনশন সেন্টারে বাণিজ্য সম্মেলনের সূত্রপাত হয়েছিল বড় শিল্পপতিদের উদ্যোগ নিয়ে। আর এদিন সম্মেলনের শেষদিনে সকাল থেকে টানা তিন ঘন্টা আলোচনা হল এই মাঝারি-ক্ষুদ্র শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে।আলোচনা করলেন, দেশ-বিদেশের শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ইউনিডো, জার্মানির ব্যাঙ্ক কর্তারাও।যার নির্যাস টেনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এদিন বলেন,”আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।বিশেষত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ যে আলোচনা হয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবারই বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে বেশকিছু শিল্পের প্রস্তাব আসে।তার মধ্যে উৎপাদন ভিত্তিক শিল্প, সৌরবিদ্যুৎ, উত্তরপাড়ায় মেট্রোরেল কোচ তৈরির কারখানা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমে সূত্রে খবর, ৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব উঠে আসে আলোচনায়।এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ভারী শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে আরও বেশি গুরুত্ব দেন।সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিকে এড়িয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কীভাবে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে দিশা দেখাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মমতা বলেন,”সুসঙ্গতভাবে কাজ করলে এগোনো সম্ভব।আর ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পই একমাত্র জায়গা যেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব।বিশ্বজুড়ে তীব্র মন্দা চলছে।আর্থিক বিপর্যয় এর বড় কারণ।আমাদের দেশও ভুগছে।কিন্তু বাংলা এই মহুর্তে অনেক নিরাপদ জায়গায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি আমরা এখানে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দ্বিতীয় দিনের বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয় এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ।উপস্থিত ছিলেন ভুটান, ইউকে, জার্মানির শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদের এই রাজ্যের বেশ কয়েকজন শিল্পপতি। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, শিল্পসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন সহ সব দপ্তরের সচিব এবং পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এদিনও বাংলায় বিনিয়োগের আবেদন জানিয়ে বলেছেন,

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
“আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।দক্ষকর্মী ,ইস্পাত শিল্প, দারিদ্র দূরীকরণের মতো বহুক্ষেত্রে দেশে এক নম্বরে এখন আমরা।শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এখানে ব্যবসা করা যায়।কোনও সমস্যা হবে না।আমরা কাউকে তাড়িয়ে দিইনা।”
যথারীতি এনআরসি আর ক্যাব ছুঁয়ে গিয়ে  মমতা বলেন ,” কেউ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান হতেই পারে কিন্তু, দিনের শেষে আমরা সবাই মানুষ।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শিল্পপতিদের উদ্দেশে তাই মমতার জোরালো আবেদন,”আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি।আপনারা আসুন।হাসিমুখে বিনিয়োগ করুন।আতিথেয়তায় ত্রুটি হবে না।” আগামী নতুন বছরের জন্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা মনে করে দিয়েছেন, “২০২০ সালের ১৫-১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় নিউটাউনে হবে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন।সেখানে আসতে কিন্তু ভুলবেন না।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রায় ৩০কোটি টাকা ব্যয়ে এই দু’দিনের সম্মেলনে দেড়হাজার অতিথি অভ্যাগতদের অভ্যর্থনা আর বিলাসবহুল খরচের শেষে সেই ক্ষুদ্র আর মাঝারি শিল্পই ভবিতব্য হয়ে রইল পশ্চিমবাংলার। এই সম্মেলন থেকে উত্তর মেলেনি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তি ও স্থপতিবিদ, কম্পিউটারবিদদের কি হবে ? তাঁদের গন্তব্য কি সেই বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই হয়েই থাকল? 

RELATED ARTICLES

Most Popular