Homeএখন খবরস্বামীর পর গ্রেপ্তার প্রেমিকও, দিঘার হোটেলে খুন পিয়ালি রহস্য সমাধানে এখনও আঁধারেই...

স্বামীর পর গ্রেপ্তার প্রেমিকও, দিঘার হোটেলে খুন পিয়ালি রহস্য সমাধানে এখনও আঁধারেই পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিঘার হোটেলে খুন হওয়া গৃহবধূ পিয়ালি দেঁড়ের   প্রেমিক অভিজিৎ পালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।শনিবার রাতে হুগলির ডানকুনির চন্দনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দিঘা থানার পুলিশ। আগের দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পিয়ালির স্বামীকে। খোঁজ চলছিল প্রেমিকের। অবশেষে মিলল তাকেও। কাঁথি আদালতের নির্দেশে রবিবার তাকে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তারা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হুগলি জেলার ডানকুনির ক্ষুদিরাম বসু পল্লীর বছর উনিশের পিয়ালি  দেঁড়ে চারবছরের ছেলেকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিল গত ১০ নভেম্বর। পালিয়েছিল স্বামীর বন্ধু অভিজিতের সাথে। অথচ ১২ নভেম্বর দিঘার হোটেলে সে ছেলেকে নিয়ে একাই আসে। ওই দিন রাতেই  বোন মিতালিকে ম্যাসেজ করে জানায় জীবন সংশয় তার।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ম্যাসেজ পেয়ে পিয়ালির পরিবার হুগলির ডানকুনি থানায় হাজির হয় পরের দিন অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর সকালেই।তাঁরা ডানকুনি থানাতে থাকার সময়ই দিঘা থানা থেকে পিয়ালি মৃত্যুর খবর যায়।ঘটনায় অভিজিৎ পালের প্রত্যক্ষ যোগ খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ।কিন্তু তার মধ্যে পিয়ালির স্বামী প্রসেনজিৎ আর হোটেল মালিক কার্তিক জানা গ্রেপ্তার হওয়ায় রহস্য আরও জটিল হয়ে উঠেছিল।পুলিশ মনে করছে, শুধুই পরকীয়া নয়, আরও কোনও গভীর রহস্য রয়েছে। যার মধ্যে প্রসেনজিৎ- অভিজিৎ এবং কার্তিক যুক্ত ছিল!

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিঘার হোটেলে  খুন , আত্মহত্যা নতুন কিছু নয়। তাতে সচরাচর হোটেল মালিকরা গ্রেপ্তার হয় না।প্রশ্ন উঠেছে নির্জন, মাত্র দু-কামরার হোটেল যেখানে সিসিটিভি নেই , নিরপত্তারক্ষী নেই , তাহলে কেউ কি পিয়ালিকে এই হোটেলে থাকার জন্য বলেছিল?পিয়ালির স্বামী, প্রেমিক , হোটেল মালিক কি কোনওভাবে এক সূত্রে বাঁধা?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মুখ খুলছে না পুলিশ।কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী বলেন,” ধৃত তিনজনকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।দ্রুতই জট  কাটবে রহস্যের।” গত ১৩ নভেম্বর দিঘার মহাপ্রভূ হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল পিয়ালির ঝুলন্ত দেহ । দুটো হাত সামনের দিকে রুমাল দিয়ে বাঁধা। পাশে চারবছরের ছেলে দেবজ্যোতি ব্যস্ত ছিল মোবাইলে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাটি যে খুনের এটা প্রথম থেকেই ধরে নিয়েছিল পুলিশ।কারণ, পিয়ালি গলায় ওড়না নিয়ে ঝুলে থাকলেও তার হাত দুটো সামনের দিকে বাঁধা ছিল। পিয়ালির ছেলেও পুলিশকে জানিয়েছিল, রাতে তাদের হোটেলের ঘরে একজন লোক এসেছিল। যাকে সে চেনে কিন্ত নাম জানেনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular