Homeএখন খবরশাসকদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ নিয়ে ঘোরার পরামর্শ দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

শাসকদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ নিয়ে ঘোরার পরামর্শ দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

অশ্লেষা চৌধুরী: কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করাই তার স্বভাব। কখনও শাড়ি পড়া হিটলার বলে কটাক্ষ করছেন, তো কখনও শাসক দলের নেতা-কর্মীদের হাত-পা পাজর ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তবে এবার যেন আলাদা মেজাজেই দেখা গেল বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

আসলে বঙ্গে বেজেছে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা, যা যুদ্ধের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই রাজনৈতিক আঙিনায় এখন উত্তপ্ত। প্রতিদিন চলছে সাংবাদিক সম্মেলন। বাদ যায়নি সপ্তাহ শেষের দিনটিও। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে শনিবার বিকেল তিনটেয় সাংবাদিক বৈঠক করেন কাকলি ঘোষ দস্তিতার। তার পরেই পাল্টা দিলীপের পাল্টা সম্মেলন। মুখোমুখি না বসেও যেন তর্ক-বিতর্কের সভার পরিবেশ বজায় থাকল গতকাল।

তৃণমূল বাড়ী বাড়ী ঘুরে জনসংযোগ কর্মসূচি নিচ্ছে। আপনারা কী করবেন? এদিন দিলীপ ঘোষের সেই সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন শুনে ঠান্ডা মাথায় তিনি বলেন, “ভাল তো! আমরাও চাই তৃণমূল মানুষের কাছে যাক। লোকে তো তৃণমূল নেতাদের সত্যিই খুঁজছে। কাটমানির হিসাব নেবে, সিন্ডিকেটের হিসাব নেবে, পঞ্চায়েতের টাকা, আম্‌ফানের টাকা, রেশনের চাল কে খেল, কোথায় গেল জিজ্ঞেস করবে। ওদের যাওয়া উচিৎ।”

তাঁর ভাষায়, “তবে কি আমি বলব তৃণমূল নেতারা যেন সঙ্গে পুলিশ নিয়ে যান। আমরা কিছু করব না। যা করার মানুষই করবে। পরে বিজেপির উপরে যে দোষ না চাপান।” এখানেই থেমে না থেকে দিলীপ বাবু বলেন, “লোকে তো এখন তৃণমূলের নেতাদের খেতেও দিচ্ছে না। এই যে তৃণমূল ‘বাংলার গর্ব মমতা’ করেছিল। আমাদের নেতারা বুথে বুথে গেলে যেমন মানুষ খেতে, থাকতে দিচ্ছে, ওদের দেয়নি। তৃণমূলের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া নিজের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তাঁকে বিজেপির কর্মীর বাড়ী খেতে হয়েছে।”

দিলীপ ঘোষ যখন এভাবে কটাক্ষ করেছেন, তখন কি আর শাসকদল চুপ করে থাকে! দিলীপের কটাক্ষের জবাবে, কাকলি ঘোষ দস্তিতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সাফল্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাও সবিস্তারে । তিনি দাবী করে বলেন, বাংলা এখন শান্তির স্বর্গরাজ্য। সৃষ্টি, কৃষ্টিতে এক নম্বরে। বিশেষ করে রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তিনি বলেন, ৩৫ বছর ধরে বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। সিঙ্গুরে তাপসি মালিককে খুন করা হয়েছে। ধানতলা, বানতলা হয়েছে। কিন্তু দশ বছরে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। গোটা দেশে আর কোনও রাজ্য নেই যেখানে মহিলারা এতটা সুরিক্ষত।

RELATED ARTICLES

Most Popular