Homeউত্তরবঙ্গউত্তর দিনাজপুরসম্পর্ক মানতে নারাজ পরিবার! একই সাথে আত্মহত্যা দেওর-বৌদির

সম্পর্ক মানতে নারাজ পরিবার! একই সাথে আত্মহত্যা দেওর-বৌদির

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেওর আর বৌদির মধ্যে গড়ে উঠেছিল পরকিয়া সম্পর্ক কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিণতি হল মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। এই সম্পর্ককে ঘিরে পারিবারিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় পরিবার সদস্যরা আপত্তি তুলেছিল বারংবার। যদিও দীর্ঘদিনের এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি দুজনের কেউই। শেষ অবধি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দুজনে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার সকালে নিজেদের বাড়ির সামনেরই একটি আমগাছ থেকে ওই যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা খবর দেন ওই বাড়িতে। খবর যায় পুলিশেও পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। জানা গেছে মৃতরা হলেন মুনমুন দাস মাইতি ও বিশ্বজিৎ দাস । উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের সীমান্ত এলাকার বিষ্ণুপুর

পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামের ২৯ বছরের মুনমুন ও ২৫ বছর বয়সী বিশ্বজিৎ সম্পর্কে তাঁর দেওর-বৌদি।
পরিবার সূত্রে খবর বছর দশেক আগে দাস শীতলপুরের দীপক দাসের সাথে বিয়ে হয় মুনমুনের। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়ে এবং তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে।বিয়ের কয়েক বছর পর কর্মসূত্রে দীপক কেরলে চলে যান। এখন সেখানেই থাকেন আর ছুটিছাটা পেলে বাড়ি আসেন। দীপকের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে দেওর-বউদির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরিবারে এই নিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। যদিও তার মধ্যেই দুজনের সম্পর্ক টিকেই ছিল।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে তিন-চারদিন আগে ফের দেওর-বউদির এই অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে দাস পরিবারে খুবই অশান্তি হয়। পরিবারের কোনোও কোনও সদস্যের বক্তব্য ছিল এই সম্পর্ক জানার পরই দীপক বাড়ি আসতেই চায়না। সম্পর্কের প্রভাব পড়ছে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ইত্যাদি ইত্যাদি। সদ্য এই অশান্তি কেরলে থাকা দীপকের কানে পৌঁছেছিল কিনা বা দীপক ফোনে এই দুজনকে কিছু বলেছিল কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে মনমরা ছিল মুনমুন। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা মুনমুন এবং বিশ্বজিৎ বাইরে বেরিয়েছিলেন।

বেশ কিছুটা রাত করেই বাড়ি ফিরেছিল মুনমুন আর দীপক যদিও কিছুক্ষণ পরে ফের তাঁরা বেরিয়ে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। শুক্রবার সকালবেলা বাড়ির অদূরেই আমগাছে তাঁদের দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। এরপরই তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিছু পরেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়গঞ্জ মেজিক্যাল কলেজের মর্গে। সেখানেই মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান করছে , পারিবারিক অশান্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন মুনমুন এবং বিশ্বজিৎ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ছবি-প্রতীকি

RELATED ARTICLES

Most Popular