Homeএখন খবরঝা য়ের ঔদ্ধত্য! ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি, ছাড়তে পারেন খড়গপুরে রাত্রিবাস

ঝা য়ের ঔদ্ধত্য! ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি, ছাড়তে পারেন খড়গপুরে রাত্রিবাস

নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর, নিজের সাংসদ এলাকায় এলে খড়গপুরের রেল বাংলোতেই রাত্রিবাস করেন। সকালে দলীয় কর্মীদের প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে চা চক্র এবং সাধারন মানু্ষের সংগে আলাপচারিতা। মেদিনীপুরে এলে এটাই বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের রুটিন। খড়গপুর শহর তাঁকে জীবনের প্রথম সংসদীয় ব্যবস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বের সুযোগ করে দিয়েছে। শুধুই তাই নয়, বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদের নির্বাচনে এই খড়গপুর শহর তাঁকে অর্ধ লক্ষাধিক ভোটে লিড দিয়েছে। খড়গপুর তাই তাঁর কাছে একটা নস্টালজিয়া। আর সে কারনেই সদ্য হয়ে যাওয়া খড়গপুর সদর বিধানসভা উপ নির্বাচনে দলের পরাজয় স্বত্তেও  সংসদীয় এলাকায় তিনি এলে খড়গপুর শহরই তাঁর রাত্রিবাসের একমাত্র ঠিকানা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও ব্যতিক্রম হয়ে রইল ১৬ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে দলীয় কর্মসূচি সারার পর নিজের সংসদীয় এলাকা মেদিনীপুর শহরে এসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক সেরে সটান ফিরে গেলেন কলকাতা! খড়গপুর শহরে রাত্রিবাসের আয়োজন করেও তা বাতিল করেছেন তিনি। এমনটাই জানা গেছে দলীয় সুত্রে। আর এর একমাত্র কারন দলের জেলা সহ সভাপতি তথা খড়গপুর শহর বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা’য়ের ঔদ্ধত্য । দলীয় সূত্রে জানা গেছে এই ঔদ্ধত্য এড়াতেই সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ খড়গপুর শহরে রাত্রিবাসের চিরাচরিত ঐতিহ্য বাতিল করতে চলেছেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু কী এমন হল যে দিলীপ ঘোষ এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? দলীয় সূত্রে জানা গেছে শেষতম ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১তারিখ। ওই দিন দিলীপ ঘোষের জন্য রেলের বরাদ্দ বাংলোতে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্মরনে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় সাংসদের খড়গপুর সদর প্রতিনিধি আবদুল মঈনের উদ্যোগে। এই কর্মসূচিতে ঝা আমন্ত্রিত ছিলেন না। খবর পেয়ে ঝা উপস্থিত হন কিন্তু ততক্ষনে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেন তাঁকে ডাকা হয়নি এই অভিযোগ তুলে মঈনকে গালাগালি সহ ধাক্কাধাক্কি করে ঝা। মঈনের দাবি শহরে ঝা এরকম অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন যেখানে তিনি ডাক পাননা। যাই হোক ঝা’য়ের কাছে চুড়ান্ত অপমানিত হয়ে মঈন বিষয়টি সরাসরি দিলীপ ঘোষকে লিখিত ভাবে জানান, কপি পাঠান জেলা সভাপতি শমিত দাসকে। এর আগেও ঝা’য়ের অপমান সহ্য করতে হয়েছে মঈনকে। আসলে সাংসদ প্রতিনিধি হিসাবে নিজের অপসারন ও মঈনের নিয়োগ মেনে নিতে পারেনি ঝা যে কারনে এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মঈন ও দিলীপ বিরোধী পোষ্ট করেছিল ঝায়ের অনুগামীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সব মিলিয়ে ঝায়ের আচরনে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ তাই ঝা’য়ের সংসর্গ এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন সকাল হলেই ঝা যেভাবে নিজের অনুগামী নিয়ে সাংসদকে ঘিরে ফেলেন সেই অস্বস্তি এড়াতে চাইছেন তিনি। আপাতত ঠিক হয়েছে খড়গপুরে আসবেন তিনি কিন্তু প্রয়োজনে রাত্রিবাস করবেন মেদিনীপুরে। আপাতত কয়েক মাস এরকমই চলতে পারে।
ঝা অবশ্য পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন মঈনের কাছে কিন্তু তাতে মঈনের মন গলেছে বলে মনে হয়না।

RELATED ARTICLES

Most Popular