ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংক্রমণে ইতিমধ্যেই জুবুথুবু রাজ্য। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে বেড মিলছেনা রোগীদের৷ শুধুমাত্র করোনা রোগী নয়, সাধারণ রোগীদেরও একই অবস্থা৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়া রোগীদের সামান্য অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রেও মিলছে না পরিষেবা। অনেকক্ষেত্রেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মিলছে৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল থেকে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। এমনকি ওই বৃদ্ধার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বেহালার শিবরামপুরের বাসিন্দা বছর ৬৯ এর গীতারানি মিত্র নামে এক বৃদ্ধাকে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ওই বৃদ্ধা শ্বাসকষ্টে প্রচণ্ড কষ্ট পেতে থাকলেও করোনা সন্দেহে চিকিৎসক, নার্স কেউই তাঁর কাছে এগিয়ে আসেননি। এরপর বাধ্য হয়ে একজন আয়ার সাহায্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বন্দোবস্ত করা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, একে একে মোট ৪টি সিলিন্ডার আনা হলেও তা একেবারেই ফাঁকা। একটিতেও অক্সিজেন মেলেনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে রীতিমতো মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এর খবর পাওয়ামাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হত না।
এদিকে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুতে চিকিৎসকদের মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নীলাদ্রি সাহা নামে ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসককে হেনস্তা করেন বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। তাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘিরে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়৷ এখানেই থেমে থাকেননি রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালের একাধিক কর্মীকেও মারধর করেন তারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পর্ণশ্রী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রোগী পরিবারের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।