Homeএখন খবরব্লক অফিসই ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর, সবংয়ে ডেঙ্গি বিরোধী ব্যানারের তলাতেই আবর্জনার স্তুপ

ব্লক অফিসই ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর, সবংয়ে ডেঙ্গি বিরোধী ব্যানারের তলাতেই আবর্জনার স্তুপ

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার থাবা এখানে এখনও সেই ভাবে বসেনি ঠিকই কিন্তু ডেঙ্গির বিপদ পায়ে পায়ে। এরাজ্যের সুবিধা হল ‘ডেঙ্গি’ হলেও ভাসুরের নাম মুখে নেওয়ার মতই ডেঙ্গির নাম মুখে নেওয়া বারন তাই অজানা জ্বরের ওপর দিয়েই সব জ্বরই পার হয়ে যায়, এমন কি ডেঙ্গির মত প্রানঘাতী জ্বরও। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকায় তেমন অজানা জ্বর মাঝে মধ্যেই গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে তবে তা ডেঙ্গি কিনা বলা যাবেনা। যদিও গত বছরই সবং লাগোয়া ডেবরার এক নাবালিকার তিনদিনের জ্বরে মৃত্যু হওয়ার পর ডেঙ্গির লক্ষন নিয়েই তার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। তাই অজানা জ্বরের আড়ালেও যে ডেঙ্গি থাকে তা অস্বীকার করতে পারেননা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা কিন্তু ওই যে ভুতের মুখে রাম নাম বারন ! তাই ডেঙ্গির নাম কেউ নেয়না যদিও ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ তার পোষ্টার, ব্যানার ঝোলে আনাচে কানাচে সরকারি দপ্তরে। যেমনটা দোলে সবং ব্লক প্রশাসনিক দপ্তরেও।

 

রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতই সবং ব্লক প্রসাশনের দপ্তরে ঝোলা ব্যানারে জনসাধারনের উদ্দেশ্যে বড় বড় করে লেখা কী করবেন আর কী করবেননা। লেখা রয়েছে, ” এলাকা পরিছন্ন রাখুন, খোলা পাত্রে জল জমতে দেবেননা, নোংরা জায়গাতেই ডেঙ্গির মশা জন্মাতে পারে।” এবার তাকিয়ে দেখুন ব্যানারের ঠিক তলাতেই কত আবর্জনা জমে আছে! না শুধু ওখানেই নয় গোটা বিডিও অফিস চত্বর জুড়েই আবর্জনার ডাঁই হয়ে আছে। ডাবের খোলা, ভাঙা টব আর গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে জল জমে আছে। নর্দমায় কিলবিল করছে লার্ভা।

 

প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আসছেন ব্লক অফিসে। আসছেন নানা প্রয়োজনে দিনের বেলায়। আর ডেঙ্গির মশা যে দিনের বেলাতেই কামড়ায়! প্রতিদিন যাতায়াতের পথে একাধিক আধিকারিক দেখছেন কিন্তু কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। যদি সত্যি সত্যি এখানে ডেঙ্গির উপদ্রব হয় তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে কেউ ভাবছেন না ! কথায় বলে আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও। কে শেখাবে , কী শেখাবে ? শেষ কবে ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছিল তাই মনে করতে পারছেনা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া ব্লক অফিসেরই এক কর্মচারী।

RELATED ARTICLES

Most Popular