Homeএখন খবরশিলিগুড়িতে জাল করোনার রিপোর্টের কারবার! সেবক রোড থেকে গ্রেপ্তার যুবক

শিলিগুড়িতে জাল করোনার রিপোর্টের কারবার! সেবক রোড থেকে গ্রেপ্তার যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা পরীক্ষার নামে জাল রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে শিলিগুড়ি শহর থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। দেশ তথা রাজ্যজুড়ে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাজ করছে মানুষের মধ্যে তখন সেই আতঙ্ককে কেন্দ্র করে জালিয়াতির এমন ব্যবসা সামনে আসায় অবাক স্থানীয় মানুষজন। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরে আসা এই ঘটনাতেই কী সীমাবদ্ধ জালিয়াতি নাকি তার জাল আরও বিস্তৃত? পুলিশের সূত্র মারফৎ জানা গেছে জাল রিপোর্ট তৈরিতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার বাসিন্দা যুবকের নাম বিশাল দত্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, শিলিগুড়িরই একটি ল্যাবে কর্মরত ছিলেন বিশাল। নিয়মবিরুদ্ধ কিছু জন্য সেখান থেকে কিছুদিন আগেই সেখান থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, সে এরপরও সেই ল্যাবের নাম করেই মানুষের বাড়িতে গিয়ে করোনা নমুনা সংগ্ৰহ করতো এবং এরপর কোনও ক্যাফেতে বসে জাল রিপোর্ট বানিয়ে টাকা আদায় করতো। শুধু করোনাই নয়,করোনা ছাড়াও আরও নানান রকম রোগের জাল রিপোর্ট তৈরি করে টাকা আদায় করতো এই অভিযুক্ত ব্যক্তি।

শিলিগুড়ির পাঞ্জাবি পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন যে,বিগত এক বছর ধরে জাল রিপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছে বিশাল। তাদের পরিবারের করোনা টেস্টের রিপোর্টও জাল বানিয়ে দিয়েছে বিশাল।তারা সকলে পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নেগেটিভ রিপোর্ট দেয় বিশাল। এদিন এই বাসিন্দা ল্যাবে রিপোর্ট আনতে গেলে জানতে পারে যে,এই নামের কোনো ব্যক্তির রিপোর্টই নেই সেখানে।এরপর অভিযুক্ত বিশালকে ফোন লাগান তিনি,বিশাল বলেন সে কিছুক্ষনের মধ্যে এসে তার রিপোর্টটি দিচ্ছে।এরপর সেই রিপোর্ট জাল প্রমাণিত হয়। আর এই রিপোর্ট বাবদ ৪ জনের থেকে ১০০০ টাকা করে নেন বিশাল।

এরপর মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি সেবক রোডের এক বাসিন্দা সেই একই অভিযোগ আনেন বিশালের বিরুদ্ধে। এরপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। একটি নির্দিষ্ট সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে সেবক রোড থেকে অভিযুক্তকে আটক করে শিলিগুড়ি থানার অধীন পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছেন যে, বিশাল পুলিশের স্বীকার করেছে যে সে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জাল রিপোর্ট বানাচ্ছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে কিডনির পরীক্ষারও জাল রিপোর্ট বানিয়ে দিত সে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ল্যাবে কাজ করার সুবাদে রিপোর্টের খুঁটিনাটি জানা ছিল তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সে নিজের পছন্দ মত রিপোর্ট বানিয়ে দিত সে।

RELATED ARTICLES

Most Popular