Homeরাজ্যচোপড়া কান্ডে নাবালিকার বাবা সহ আটক পরিবারের ৫ সদস্য, থানার সামনে বিক্ষোভ...

চোপড়া কান্ডে নাবালিকার বাবা সহ আটক পরিবারের ৫ সদস্য, থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির

ওয়েব ডেস্ক : ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত,নাবালিকার মৃত্যুতে এখনও ফুঁসছে চোপড়াবাসী। বিজেপি বুথ সভাপতির বোনের মৃত্যুতে রবিবার থেকেই বিক্ষোভ চলে চোপড়ায়৷ সোমবার সারাদিন থমথমে গোটা এলাকা। রীতিমতো অঘোষিত বন্ধের চেহারা। তবে সন্ধেয় ওই ঘটনা নয়া মোড় নেয়। নিহত কিশোরীর বাবা, দাদা, কাকা-সহ পরিবারের মোট ৫ জনকে আটক করল পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হবে৷ যদিও তাদের আটক করার প্রতিবাদে সোমবার রাতে গেরুয়া শিবিরের তরফে চোপড়া থানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপির দাবি, নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের আটকে রেখে তৃণমূলের উসকানিতে ঘটনার অন্যদিকে মোড় ঘোরাতে চাইছে পুলিশ সে কারণেই তাদের আটক করা হল। এবিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, “পুলিশ বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে।”

রবিবার ভোরে বাড়ির পাশেই শৌচালয়ে গিয়েছিল বিজেপি বুথ সভাপতির বোন। অভিযোগ, ফেরার পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করে। এরপর বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে সোনারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপড়াগজের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে। অভিযোগ সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতিরা৷ এখানেই থেমে থাকেনি তারা৷ এরপর বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয়। এরপর ওই ফাঁকা জায়গায় অসুস্থ কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় কিশোরীর।

পরিবারের অভিযোগ, ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন। তারাই ওই কিশোরীকে। এর প্রতিবাদেই রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতা কিশোরীর শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা।
এরপরই বিজেপির তরফে মিছিল করে দেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন ওই মিছিলে ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব। তবে সেই মিছিলেও বাধা দেয় পুলিশ। তা নিয়েও বিজেপির তরফে বিক্ষোভ শুরু হয়।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় মেয়ের দেহ সৎকার করে বাড়ি ফেরার পর নিহত কিশোরীর বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী গৌতম দেব, গোলাম রব্বানি, মৌসম বেনজির নূর এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এর কিছুক্ষণ পরেই কিশোরীর বাবা, দাদা, কাকা-সহ পরিবারের ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে কি কারণে তাদের আটক করা হল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular