Homeএখন খবরউত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি, উত্তর দিনাজপুরে ভেসে গেল বহুগ্রাম, শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ছুটছে...

উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি, উত্তর দিনাজপুরে ভেসে গেল বহুগ্রাম, শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ছুটছে ত্রান শিবিরে

ওয়েব ডেস্ক : গত ১১ই জুন থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষা। গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। এর জেরে ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। এদিকে অন্যান্য জেলার তুলনায় উত্তর দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক। বর্ষার শুরুতেই সেচ দপ্তরের তরফে উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছিল। সতর্কতা জারির পাশাপাশি রায়গঞ্জ মহাকুমা প্রশাসনের তরফে ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হলে তা মোকাবিলার প্রস্তুতও করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে বন্যা মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ক্রমশ জল বাড়ছে কুলিক নদী ও টাঙ্গন নদীতে৷ একই অবস্থা নাগর নদীতে। ক্রমশ জল বেড়েই চলেছে। এর জেরে প্লাবিত হচ্ছে বহু এলাকা। আতঙ্কে রয়েছেন নদীকূলের বাসিন্দারা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণের ভয়ে শ’য়ে শ’য়ে লোক ত্রাণ শিবিরগুলিতে আসছেন। এর জেরে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শহর লাগোয়া আব্দুলঘাটা এলাকায় ধসে গিয়েছে কুলিক নদীর বাঁধ। সেই বাঁধের মেরামতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে বন্যা কবলিত মানুষগুলির মাঝে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন রায়গঞ্জের ব্লক প্রশাসন। এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাপতি কবিতা বর্মন বলেন, “জেলার কোনও ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিলির জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের তরফে পর্যাপ্ত নৌকা ও স্পিডবোট তৈরি রাখা হয়েছে।”

নাগারে বৃষ্টির জেরে রায়গঞ্জ ব্লকের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েত, জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত, বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি। টাঙ্গন নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকেরও বেশকিছু এলাকা। রকমারি সবজি থেকে শুরু করে ভুট্টা ও ধান জলের তলায়। রীতিমত আশঙ্কায় গ্রামের বাসিন্দারা।

এদিকে, কুলিক ও নাগরের জল বাড়ায় রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিন, কুমারজোল, কামারটুলি, লৌহজগ্রাম, ছিট মহারাজপুর, নয়াটুলি ও ট্যাগরার বাসিন্দারাও ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন। একই কারণে ব্লকের গৌরী, শীতগ্রাম, বিন্দোল, শেরপুর ও কমলাবাড়ী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিহার, দুপদুয়ার, অনন্তপুর, এলেঙ্গিয়া, রহমতপুর, শিয়ালতোড়, পরিহারপুর, মুকুন্দপুর, বালিয়া, অন্তরা, বড়বার, পাথরবাড়ি, বাগরোল, ধুরোইল, বামুয়াহাট ও আব্দুল ঘাটা এলাকার বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের ইতিমধ্যেই ত্রান শিবিরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular