Homeএখন খবরকরোনামুক্তির পর ফের দ্বিতীয়বারের জন্য ভাইরাসের থাবা, নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করছে...

করোনামুক্তির পর ফের দ্বিতীয়বারের জন্য ভাইরাসের থাবা, নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করছে কলকাতা মেডিক্যাল

ওয়েব ডেস্ক : করোনামুক্তির পর ফের শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ ভাইরাস৷ যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তবে একবার সেরে ওঠার পর দ্বিতীয়বার যাতে একই শরীরে ফের বাসা বাঁধতে না পারে করোনা, সেই কারণে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফ এক নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করার কথা জানালেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি। চিকিৎসক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ অনেকটাই বাগে আনা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ করোনা আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটলেও করোনা পরিস্থিতি এখনও ঊর্ধ্বমুখী। এর মাঝেই আবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনামুক্ত রোগীদের শরীরে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ। অর্থাৎ করোনা সংক্রমিত কোনো রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ফের তাঁর শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ ভাইরাস। শুধু বাংলা নয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একই ঘটনা ঘটছে বলেই জানা গিয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করতে চাইছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এ প্রসঙ্গে নির্মল মাঝি জানান, “আমরা ভাইরাল লোড চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে চাইছি। ইতিমধ্যেই সিটি ভ্যালু পদ্ধতিতে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনে বিশেষজ্ঞ কমিটি চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।”

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগেই একই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মীর হোসেন বারির জীবনে। প্রথমবার করোনামুক্ত হয়ে, ফের কাজেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই তাঁর পেটের সমস্যা দেখা দেয়। সন্দেহ হওয়ায় ফের করোনা পরীক্ষা করা হলে হতবাক চিকিৎসকরা। দ্বিতীয়বারের জন্য আবার করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই ভাইরাল লোড পরিমাপ করে চিকিৎসা করার বিষয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। কী এই পদ্ধতি? হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখা হবে, তার শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ ঠিক কতটা। এরপর অবস্থা বুঝে চিকিৎসা করা হবে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তবে শুধুমাত্র মীর হোসেনই যে দ্বিতীয়বারের জন্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তা কিন্তু নয়, রাজ্যের আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে দ্বিতীয়বারের জন্য মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular