Homeএখন খবরইচ্ছে ডানায় ভর করেই উৎসব আনন্দের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখছেন দুঃস্থ পড়ুয়া...

ইচ্ছে ডানায় ভর করেই উৎসব আনন্দের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখছেন দুঃস্থ পড়ুয়া থেকে অসহায় বয়স্ক নাগরিকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুঃস্থ ও অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং “আনন্দ নিকেতন “এর বাচ্ছাদের দিকে মানবিকতার হাত বাড়ালো “ইচ্ছে ডানা “পরিবারের সদস্যরা।গতানুগতিক চিন্তাধারার বেড়াজাল টপকে কিছুটা দুঃসাহস আর স্পর্ধা নিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে চলেছেন “ইচ্ছেডানা “র সদস্যরা।

শিক্ষাই পারে এ সমাজের সমস্ত অন্ধকার দূর করতে। তাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে মেদিনীপুর শহরের তোড়াপাড়ার নিকটে বেশ কিছু দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এক অবৈতনিক শিক্ষালয় “আনন্দ নিকেতন “।যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি গান, নাচ, আঁকা ও হাতের কাজ শেখানো হয়।

কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষ দুমুঠো ভাতের জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে শিক্ষার প্রসার ঘটানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এই মহামারীর দিনে পূজার প্রাক্কালে “ইচ্ছেডানা “পরিবারের দুদিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে অর্থাৎ গতকাল “আনন্দ নিকেতন “এর বাচ্ছাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নতুন বস্ত্র, খাতাকলম, মাস্ক, সাবান ও মুড়ি, বিস্কিট, বাদাম, চানাচুর, কেক, মিঠাই ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী।

এই করোনা পরিস্থিতিতে “ইচ্ছেডানা “পরিবার প্রতি মাসেই বাচ্ছাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক, সাবান ও খাতাকলম তুলে দেয়। এছাড়াও ওদের প্রয়োজনীয় বইপত্রের যোগান দেয় “ইচ্ছেডানা”পরিবার। ওদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলাটাই “ইচ্ছেডানা “পরিবারের সদস্যদের একমাত্র লক্ষ্য।

দ্বিতীয় দিনের অর্থাৎ আজকের কর্মসূচিতে মেদিনীপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের নিকটে অবস্থিত “জনকল্যাণ ভবন “এর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র, মাস্ক ও মুড়ি, চানাচুর, বিস্কুট, মিঠাই ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী।

“ইচ্ছেডানা “র সম্পাদিকা সুস্মিতা কুণ্ডু ও সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা জানা জানিয়েছেন -” মানুষের পাশে থাকার যে ব্রত নিয়ে “ইচ্ছেডানা “পরিবার মানবিকতার নজির গড়েছেন, সেই ব্রত তারা আগামী দিনেও পালন করবেন এবং অসহায় মানুষ ও শিশুদের পাশে থাকবেন। সর্বতোভাবে তাঁরা চেষ্টা করবেন শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে সমাজকে আলোকময় করার”।

RELATED ARTICLES

Most Popular