Homeশরীর ও স্বাস্থ্যমাইগ্রেন থেকে ক্যান্সার, সমস্যা মেটাবে রান্নাঘরের অতি পরিচিত এই বস্তুটি

মাইগ্রেন থেকে ক্যান্সার, সমস্যা মেটাবে রান্নাঘরের অতি পরিচিত এই বস্তুটি

অশ্লেষা চৌধুরী: আমাদের রান্না ঘর সরষের তেল ছাড়া একেবারেই অসম্পূর্ণ। তবে আজকালকার যুগের তথাকথিত হেলথ কনশাস লোকেরা মনে করেন, এই তেলটি নাকি হার্টের ক্ষতি হয়। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই হয় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যদি মেনে নেন, তাহলে একথা বলতেই হয় যে শরীর এবং ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি। তাই সরষের তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা মেনে নেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই বললেই চলে বরং রোজকার ডায়েটে এই তেলটিকে অন্তর্ভুক্ত করেলে পাবেন নানা উপকার। যেমন-

আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমায়: সরষের তেলে খুব বেশি পরিমাণে সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম নামক দুটি খনিজ থাকে , যা আথ্রাইটিসের প্রদাহ কমানোর পাশপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সরষের তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিৎ।

মাইগ্রেন কমাতে সহায়ক: মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন কাজে আসে। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরষের তেলে এই খনিজটি বিপুল পরিমাণে থাকে। তাই এমন তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সরষের তেলে ভাজা মাছ খেলে শরীরে ওমাগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে: সরষের তেলে কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সবটাই রয়েছে। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ক্যান্সারের প্রকোপ কমায়: সরষের তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন এই তেল খেলে এমন ধরনের মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে অনেকাংশেই হ্রাস পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: সরষের তেল খাওয়া শুরু করলে হার্টের কোনও ক্ষতিই হয় না বরং কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশানে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে সরষের তেলে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

শ্বাস কষ্ট দূর হয়: একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যে কোন ধরনের সমস্যা কমাতে সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যারা এমন ধরনের রোগকষ্টে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত সরষের তেল খাওয়া উচিৎ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: সরষের তেলে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

পাশাপাশি বুকে ব্যথা, বন্ধ নাক খোলা এসবে সরষের তেলের উপকারিতা তো সকলেরই জানা। আর এগুলো অসুখে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে বহু প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে সরষের তেল।

RELATED ARTICLES

Most Popular