Homeএখন খবরজল ছাড়ল গলুডি! বিপদের প্রহর গুনছে সুবর্নরেখা অববাহিকা, মধ্যরাতেই প্লাবনের আশঙ্কা গোপীবল্লভপুর-নায়াগ্রাম,...

জল ছাড়ল গলুডি! বিপদের প্রহর গুনছে সুবর্নরেখা অববাহিকা, মধ্যরাতেই প্লাবনের আশঙ্কা গোপীবল্লভপুর-নায়াগ্রাম, ভোর রাতে কেশিয়াড়ি-দাঁতন

নিজস্ব সংবাদদাতা; ঝাড়গ্ৰাম: ২ দিনের টানা বৃষ্টি ছিলই এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারেজের জল ছাড়ার ঘটনা। আর যার ফলে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫টি ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে ২দফায় প্রায় ৪লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে গালুডি। আর তার ফলে আশঙ্কার প্রহর গুনছে ঝাড়গ্রামের দুই গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ও দাঁতনের বেশ কিছু গ্রাম।

একটি সূত্র জানিয়েছে গতকাল রাত থেকে সুবর্ণরেখা নদীতে গালুডী ব্যারেজ পর্যায়ক্রমে আজ দুপুর অবধি ২ লক্ষ ২২ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ফের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে লক্ষ ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার। ইতিমধ্যেই সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী ব্লক গুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা । বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে জল । সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলির নদী ঘাটের মোতায়েন রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার ।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টির দরুন যথেষ্ট জলস্তর বেড়েছে সুবর্ণরেখা নদীতে । এর মধ্যেই গতকাল গালুডি ব্যারেজ থেকে প্রথম দফায় জল ছাড়া হয়েছিল । বৃহস্পতিবার পুনরায় নতুন জল ছাড়ার পর থেকেই সুবর্ণরেখার বিপদসীমা দিয়ে বইছে জল । গোপীবল্লভপুর ১ ওগোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লক , সাঁকলাইল ব্লক এবং নয়াগ্রাম ব্লকে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। সতর্ক করা হয়েছে দাঁতন ও কেশিয়াড়িকেও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় , জল বাড়ার কারনে সতর্কতা জারি করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি । সাঁকলাইল ব্লক এবং গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের কিছু জায়গায় কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে ।

গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র বলেন , বিপদসীমার উপর জল থাকলেই এখনও পর্যন্ত কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি । জলস্তর আরও যদি ৩ থেকে ৪ ফুট উঠে তাহলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়েছে । প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শুকনো খাওয়ার মুজুত করা হয়েছে । এছাড়াও পুলিশের সাহায্য নিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে । সূত্র মারফৎ জানা গেছে মধ্যরাতেই জলের প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে দুই গোপীবল্লভপুর ও সাঁকরাইলে, ভোর রাতে নয়াগ্রাম ও কেশিয়াড়ি ছাড়িয়ে সাতসকালে জলস্ফীতি ঘটার আশঙ্কা দাঁতনে। সংশ্লিষ্ট ব্লক গুলিতে কন্ট্রোলরুম খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular