Homeএখন খবররাত পোহালেই গঙ্গা সাগরে ৩০লক্ষ পুন্যার্থী, আগের দিনই সাগর স্নানে ঢল

রাত পোহালেই গঙ্গা সাগরে ৩০লক্ষ পুন্যার্থী, আগের দিনই সাগর স্নানে ঢল

               
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আর মাত্র কয়েকঘন্টা। শাহীস্নান বা পূণ্যস্নানের এবারকার সময় হল ১৫ জানুয়ারি বুধবার, সকাল ৮ টা বেজে ২৮ মিনিটে। এই সময় থেকেই শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পূণ্য স্নানের যোগ। এই যোগ থাকবে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, সকাল ৮ টা বেজে ২৮ মিনিট অবধি। অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই পুন্যার্থীর দল ঝাঁপিয়ে পড়বেন স্নানের জন্য ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কুম্ভমেলার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা হল গঙ্গাসাগর। এবার যেহেতু কুম্ভমেলা নেই তাই সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু গঙ্গাসাগরই ।আর সে কারনেই এবার প্রায় ৩০লক্ষ মানুষ এই পূণ্য স্নানে অংশ নেবেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ১০জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়ে গেলেও ভিড় উপচে পড়েছে ১৪তারিখই কারন রাত পোহালেই সবাই অংশ নিতে চাইছেন শাহী স্নানে।  মেলা চলবে ১৭তারিখ অবধি।

হিমালয় থেকে আসা সাধুসন্তরা মেলার বিশেষ আকর্ষণ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কেবল ছাইভস্ম গায়ে মেখে অনাবৃত অবস্থায় তারা তাদের ধর্মীয় নিয়ম পালন করেন। পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খন্ড ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ আসেন এখানে ।  সরকারের পাশাপাশি অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে আরম্ভ করে সেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন। বর্ণ বৈষম্যের বিভেদ দূরে ঠেলে ঐক্যের সূচনা ঘটে এই মেলায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সাগরতটে মেলার প্রাঙ্গন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি কর্মী। পূণ্যর্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন।

মেলা জুড়ে আবর্জনা ও ময়লা পরিস্কারের জন্য এই প্রথম ব্যবহার করা হবে ২৮টি ই-রিক্সা। ভ্যাট পরিস্কারের জন্য থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ই-কার্ট। আর এই ই-কার্টে নিয়োগ থাকবে একজন চালক ও  ২জন সাফাইকর্মী মোট ৩জন। এই বছরে পরিবেশ সচেতনার কথা মাথায় রেখে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিক।এর বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা। করা হয়েছে উপযুক্ত তরল ও বর্জ নিকাশি ব্যবস্থাও।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পূণ্যার্থীদের সুবিদার্থে রাখা হয়েছে বায়ো টয়লেটের সুবিধা। নিরপত্তার জন্য প্রচুর ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে চলবে নজরদারি। দুর্ঘটনা এড়াতে ডুবুরি, সিভিল ডিফেন্স, ও বিশেষ লঞ্চ থাকছে। জেটিগুলো মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular