Homeএখন খবরসাত সকালেই দোকান থেকে লুট সোনার গহনা, নগদ টাকা ! চাঞ্চল্য গড়বেতাতে

সাত সকালেই দোকান থেকে লুট সোনার গহনা, নগদ টাকা ! চাঞ্চল্য গড়বেতাতে

পলাশ খাঁ, গড়বেতা : রীতিমত ফিল্মি কায়দায় সোনার গহনার ব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতকারী। আর গোটা ঘটনাই ঘটল প্রকাশ্য দিবালোকে মালিকের চোখের সামনেই। একেবারে পরিকল্পনা করে বেশ কয়েকদিনের রেইকি (মহড়া)করেই এই লুটের কাজটি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়ে দোকানের মালিক। কিন্তু সেই হতভম্ব ভাব কাটিয়ে হয়ে দোকানের মালিক যখন সম্বিৎ যখন ফিরে পান ততক্ষনে দুষ্কৃতকারিরা বেপাত্তা হয়ে যায়৷

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতাতে। ঘটনার জেরে রীতিমত আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় এলাকার দোকানদাররা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গড়বেতার গুঞ্জন সিনেমা হলের পাশেই পাল অলঙ্কার ভবন নামের একটি সোনার দোকান রয়েছে। এই দোকানের মালিক পিন্টু পাল প্রতিদিন রাত্রে দোকান বন্ধ করার সময় একটি ব্যাগে ভরে মুল্যবান সোনার অলঙ্কার গুলি বাড়ি নিয়ে চলে যান এবং পরের দিন সেই ব্যাগ নিয়ে আসেন দোকানে। সাধারন ভাবে মফঃস্বল এলাকায় এটাই রেওয়াজ।

অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে ব্যাগে ভরে সোনার অলঙ্কার গুলি নিয়ে বাড়ি নিয়ে গেছিলেন পিন্টু পাল৷ শুক্রবার সকালে সেই ব্যাগ নিয়ে আসেন দোকান খোলার জন্য। দোকান খুলে ব্যাগটি শোকেশের ওপর রেখে দোকানে ধুপ দিচ্ছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি একসঙ্গে হুড়মুড়িয়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। ব্যাপারটা ঠিক কী হচ্ছে বুঝতে না পেরে হকচকিয়ে যান পিন্টু পাল। হাতের ধুপ হাতেই ধরা থাকে। এরই মধ্যে একজন ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। অকস্মাৎ এই ঘটনায় প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়েন দোকানের মালিক। পরে যখন সম্বিৎ ফিরে তখন দোকান ছেড়ে পালিয়েছে দলটি।

দোকান মালিক জানিয়েছেন, কয়েকটি লোক অমন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ায় কিছু ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটেছে মনে করে আমি থমকে যাই কয়েকজন আমার সামনে। শো-কেশটা আড়াল হয়ে গেছিল। এরপর ওরা ফের বেরিয়ে গেল। ওরা কেনই ঢুকল আর কেনই বা বেরিয়ে গেল এটা ভাবতে ভাবতেই খেয়াল করি আমার ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে একজন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বেরিয়ে এসে লোকজনকে ডাকি কিন্তু ততক্ষনে ওরা পালিয়ে গেছে। ওই ব্যাগের মধ্যে বেশ কিছু পাইকারি গহনা ও নগদ টাকা ছিল৷”

সাতসকালেই এই লুটের খবর পেয়ে ছুটে আসে গড়বেতা থানার পুলিশ। চারদিকে সতর্ক করা হয়। থানার বিভিন্ন এলাকায় কর্তব্যরত সিভিক ভলেনিটিয়ার্সদের ঘটনার বিবরণ দিয়ে এলাকা এবং রাস্তাঘাটের ওপর নজরদারি করতে বলা হয়। কিন্তু দুষ্কৃতিদের সন্ধান মেলেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। খোঁজ খবর নিয়ে যায়। দুষ্কৃতিদের অবয়ব ইত্যাদি জানার চেষ্টা করে। এদিকে সাত সকালে দিনের আলোতে ভরা বাজারে সাত এমন অভিনব কায়দায় লুটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশের ধারনা আগে থেকে পিন্টু পালের গতিবিধির ওপর নজরদারি করা হয়েছে লুটের আগে। তাঁর দোকান খোলা, বন্ধ করা ইত্যাদি জানার পাশাপাশি বাজারের অন্যান্য দোকানদারদের অবস্থান, পথ ঘাট সমস্ত নিখুঁত ভাবে জানার পরই এই অভিনব কায়দায় লুট চালিয়েছে দুষ্কৃতি দলটি।

RELATED ARTICLES

Most Popular