Homeএখন খবরডাক্তার পুত্রকে নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে গড়বেতায় তপন ঘোষের...

ডাক্তার পুত্রকে নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে গড়বেতায় তপন ঘোষের ওপর বর্বরোচিত হামলা, অভিযুক্ত তৃনমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক ডাউনে টানা দু’মাস কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে তৃণমূলের রোষের মুখে ছিলেন আগেই এবার করোনা কালে অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে নিজের চিকিৎসক পুত্রকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে বর্বরোচিত আক্রমনের শিকার হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য তথা গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ। দুস্কৃতিদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর চিকিৎসক পুত্র এবং ঘোষের আরেক সহকর্মী। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় রক্তাক্ত, আহত তিনজনকেই গড়বেতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তপন ঘোষ অভিযোগ করেছেন, প্রথমে প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে এই বর্বরতা চলার পর পুলিশ আসে এবং তারপরও পুলিশের সামনে দশ মিনিট এই বর্বরতা চলে। গোটা ঘটনাই ঘটে গড়বেতার কাদড়া উত্তর বিল এলাকার ভেদুয়া মোড়ে।

মাথায় ৫টা সেলাই

জানা গেছে, উত্তর বিল অঞ্চলের কুমার বাজার এলাকার এক ৭২ বছর ব্যক্তি ঘোষের পরিচিত রনজিৎ দে, হঠাৎ করে বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। লকডাউন চলায় রনজিৎ য়ের পরিবারের লোকেরা চিকিৎসক না পেয়ে তপন ঘোষ এর সংগে যোগাযোগ করেন।

তপন ঘোষ নিজের চিকিৎসক ছেলে নেলসনকে নিয়ে একটি গাড়ি করে তাঁর আরেক সহযোগী দিবাকর ভূঞা সহ ওই অসুস্থ ব্যক্তির বাড়ীতে যান। ঘোষ জানান, “রনজিৎ বাবুকে আমার ছেলে দেখার পর তাঁকে সংগে নিয়ে যাওয়া কিছু ওষুধ দেয় এবং আরও কিছু ওষুধ কেনার পরামর্শ দিয়ে গড়বেতা ফিরছিলাম।

ডাক্তারের গাড়ি! তবুও মেলেনি ছাড়

ফেরার পথে ভেদুয়া মাদ্রাসা মোড়ের কাছে বেশ কিছু মানুষ আমাদের পথ আটকায়। এরা আমাদের নামানোর চেষ্টা করে। না নামতে চাইলে পাথর ও রড দিয়ে গাড়ী ভাঙচুর করে।”

ঘোষের দাবি “এরপরও আমরা গাড়ী থেকে নামছি না দেখে গাড়ির ভাঙা স্থান দিয়ে রড লাটি ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করা হচ্ছিল আমাদের। আমি গাড়ির পেছেনের দিকে বসেছিলাম। গাড়ির পেছনের কাঁচ ভেঙে ওই অংশ দিয়ে রড মারা হয় আমার মাথায়। কারও কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ আসে কিন্তু পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটতে থাকে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলে এই বর্বরতা।”

এরপরই স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আরও এক পুলিশ আধিকারিক পুলিশের একটি বড় বাহিনী নিয়ে হাজির হলে দুর্বৃত্তরা পালায়। পিছু হটে দুর্বৃত্তরা। একটি বাইক বাহিনীও ছিল আক্রমন কারীদের সাথে যারা পুলিশ আসার পর দলবল নিয়ে পালায় ওই বাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সবাই তৃণমূলের মদদপুষ্ট । এলাকার মোরাম বোল্ডার অবৈধ খাদান চালানোয় অভিযুক্ত এই সিন্ডিকেট বাহিনী যার নেতৃত্বে রয়েছে এই বাহিনীর নীলু মন্ডল, মদন খাঁ প্রভৃতিরা।

এই এলাকার কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বে দেড় মাস ধরে গড়বেতা জুড়ে এলাকার পর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ কমিউনিটি কিচেন চালিয়েছেন তপন ঘোষ ও তার লোকেরা। গড়বেতা এলাকার ৩০০ মৌজার গরিব মানুষ সেই কিচেনের সুবিধা পেয়েছেন।

গাড়ির ভেতরে থান ইট

এছাড়া ধাদিকা এলাকায় ১৭দিন কিচেন খোলা হয়েছিল। গড়বেতা সিপিএম পার্টি অফিস থেকেও একটি কিচেন চালানো হয়। এরফলে দ্রুত এলাকায় সমর্থন হ্রাস পাচ্ছিল শাসকদলের। এরই পাশাপাশি বেআইনি বালি পাথর মোরাম খাদানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঘোষের নেতৃত্বে। তাতেই মরিয়া হয়ে এই আক্রমন। যদিও তৃনমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular