নিউজ ডেস্ক: একসময় যখন নিজের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তখন নানান ধরণের গাছ লাগিয়ে,ওয়ার্ডকে সাজিয়েছিলেন।এবার পুর প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে গাছ দিয়ে শিলিগুড়ি সাজানোর পরিকল্পনা নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব।এই পরিকল্পনার আওতায় শহর জুড়ে দশ লক্ষ গাছ লাগানো হবে।মূলত শিলিগুড়ি শহর বৈকুণ্ঠপুর, মহানন্দা বনাঞ্চল দিয়ে ঘেরা থাকলেও,এখানে বড়ই অভাব গাছের।জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলি ছাড়া শিলিগুড়ির বাকি ওয়ার্ডগুলিতে তেমন গাছ নেই।সেই উদ্দেশ্যেই এবার শহর জুড়ে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা পুর প্রশাসক গৌতম দেবের।
উল্লেখ, গৌতম দেব ১৯৮৯ সালে যখন প্রথম কাউন্সিলর হয়েছিলেন তখন তিনি বনমন্ত্রীর সাথে কথা বলে,নিজের ওয়ার্ডকে গাছপালা দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন।নিজের হাতে সেই সব গাছের যত্ন নিতেন তিনি।যার ফল এখন সেই ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর পাচ্ছেন।গাছে ঢাকা সেই ওয়ার্ডে প্রবীণ-থেকে নবীন সকলেই প্রাতঃভ্রমনে যান।এ বার শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হওয়ার পরে সমগ্র শিলিগুড়ি শহরটিকে গাছ দিয়ে মুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, ‘গাছ না-থাকলে কখনো সেই শহরকে মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য বলা যায় না। গাছের বড়ই অভাব রয়েছে শিলিগুড়ি শহরে।সেই কথা মাথায় রেখেই শহর জুড়ে ১০ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।তবে এত গাছ এক সাথে লাগানো সম্ভব নয়,তাই ধাপে ধাপে করা হবে এই কাজটি।আর শুধু গাছ লাগলেই হল না তার সঠিক যত্নও নিতে হবে’।
গৌতমবাবুর এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বন দপ্তরের পার্কস অ্যান্ড গার্ডেন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন। মূলত,জুন-জুলাই মাস গাছ লাগানোর মরসুম। বন দপ্তর ওই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণ উৎসবের আয়োজনও করে থাকে। সেই সময়ে শিলিগুড়ি শহরেও গাছ লাগাবে পুরসভা।
শহরের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাছ লাগানোর হবে মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে।ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার মহানন্দা সংস্কারের জন্য নানান চেষ্টা চালাচ্ছে ।ভাঙন রোধে নদীর দুই পাড়ে বাঁধও নির্মাণ করা হয়েছে।এবার গাছ লাগিয়ে জায়গাটির শোভা আরও বাড়ানো হবে।