Homeআন্তর্জাতিকহলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলগেট পরিদর্শন বাংলাদেশের আধিকারিকদের

হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলগেট পরিদর্শন বাংলাদেশের আধিকারিকদের

নিউজ ডেস্ক:খুব শীঘ্রই চলতে পারে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন।বৈঠক বসবেন ভারত-বাংলাদেশের আধিকারিকরা। রবিবার বিকেলে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রেলগেটটি পরিদর্শন করলো বাংলাদেশ রেলের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের একটি দল। নব নির্মিত হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে দুই দেশের রেলমন্ত্রকের মধ্যেই। এর জন্য ২০১৫ সালের পর ফের আয়োজিত হতে চলেছে ইন্দো বাংলাদেশ ডিআরএম কো অর্ডিনেশন মিটিং।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাটিহার ও শিয়ালদা ডিভিশনের আধিকারিকদের নিয়ে শিলিগুড়ির একটি হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর পাশাপাশি কিভাবে তা পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যায়।

এই কারণে এদিন বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের তরফে আটজনের এক প্রতিনিধি দল হলদিবাড়িতে আসেন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার গেট সহ হলদিবাড়ি স্টেশনটি ঘুরে দেখেন তাঁরা। কাটিহারের ডিআরএম রবীন্দ্র কুমার ভর্মা জানান, আগামী মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আগামী মার্চ মাসে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর গতবছরের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি রেলপথে পুনরায় ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।

চিলাহাটি স্টেশন থেকে ৩২টি পণ্যবাহী বগি নিয়ে ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশনের উদ্দেশে একটি ট্রেন প্রথম রওনা হয়।

১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট পাক-ভারত বিভক্ত হওয়ার পরও এই পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সরকার। রেলপথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬.৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ এবং ২.৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণ-সহ অন্যান্য অবকাঠামো।

RELATED ARTICLES

Most Popular