Homeএখন খবরশিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে অব্যবস্থার প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকদের ডেপুটেশন

শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে অব্যবস্থার প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকদের ডেপুটেশন

নিজস্ব সংবাদদাতা; কলকাতা: এও অনেকটা প্রাতরণারই সামিল। শত শত স্কুলের কক্ষগুলি চুক্তি ব্যবস্থায়  প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালানোর পর চুক্তির অর্থ না দিয়ে চলছে দিনের পর দিন টাল বাহানায় বিরক্ত প্রতিষ্ঠান গুলি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়ে দিল। জানা গেছে রাজ্যের  প্রায় সতেরো হাজার প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষক শিক্ষিকাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং(এন আই ও এস) এর মাধ্যমে ডি এল এড প্রশিক্ষিত করা হয় ২০১৭-১৯ সালে।

অথচ যে সাড়ে সতেরশ বিদ্যালয়গুলোতে স্টাডি সেন্টার করা হয়েছিল তারা তাদের প্রাপ্য অর্থ ও অন্যান্য সুবিধা এখনো পায়নি। ঐ প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষক শিক্ষিকা গনের প্রত্যেকের থেকে সাড়ে দশ হাজার করে মোট একশো দু কোটি টাকা ঐ কেন্দ্রীয় সংস্থার আঞ্চলিক অফিস টি তুলেছে। রাজ্যের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলিকে মাত্র সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়েছে। মোট প্রাপ্য টাকা প্রায় পঞ্চাশ কোটি।

গত দুবছর ধরে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যবহার পত্র জমা দিলেও আজও পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলি প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত বারে বারে যোগাযোগ করা হলেও ওই অর্থের বরাদ্দ কেন্দ্রীয় সংস্থা কলকাতার আঞ্চলিক অফিস দিচ্ছে না।ফলত প্রশিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী গণ তাঁদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সেই বঞ্চনা, অব্যবস্থা ও বেনিয়মের প্রতিবাদে এন আই ও এস এর কলকাতার সল্ট লেক আঞ্চলিক অফিসে এর ডেপুটেশন দিল প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সংগঠন “এডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস”।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি জানান, “প্রায় সাড়ে সতেরশ স্টাডি সেন্টার তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে এই কোর্সকে সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করার জন্য যাবতীয় আর্থিক দায়িত্ব বহন করেছিল। এককালীন কিছু টাকা স্টাডি সেন্টারগুলোকে দেওয়া হলেও বকেয়া টাকা নিয়ে এন আই ও এস কর্তৃপক্ষ একবার রাজ্য একবার কেন্দ্রের কোর্ট এ বল ঠেলে দায়মুক্ত হতে চাইছে। ”

মাইতি জানান, এই প্রবঞ্চনা দিনের পর দিন বরদাস্ত করবনা আমরা। আজ আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করেছি। কিন্তু এরপরে অবিলম্বে সমস্ত দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন এবং আইনি লড়াই এর পথে যাওয়া হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুক্রবারের এই ডেপুটেশনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাগন অংশ নেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular