Homeএখন খবরনির্বাচনের কাজ থেকে অব্যহতি পেতে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ বিদ্যালয় প্রধানদের সংগঠন

নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যহতি পেতে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ বিদ্যালয় প্রধানদের সংগঠন

নিজস্ব সংবাদদাতা: আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন থেকে রাজ্যের সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলির প্রধান শিক্ষক – শিক্ষিকারা সম্পুর্ন রূপে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল এডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস। সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই মামলা দীর্ঘায়িত হতে পারে অনুমান করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

সোসাইটির পক্ষ থেকে যে মামলা করা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষি সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শ্রী চন্দন কুমার মাইতি জানিয়েছেন যে, গত ১১ই মার্চ মাননীয় বিচারপতি অরিন্দম মুখার্জির এজলাসে মামলার শুনানি হয়েছিল। সোসাইটির পক্ষে আমাদের আইনজীবী লক্ষ্মীনাথ ভট্টাচার্য ওই শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, যে প্রধান শিক্ষক – শিক্ষিকারা শুধু সিঙ্গেল ক্যাডার পোস্ট তাই নন, বিদ্যালয়ের যাবতীয় সম্পত্তির কাস্টডিয়ান। ফলে তাঁদেরকে নির্বাচনী ডিউটি দিলে একদিকে যেমন পঠন পাঠন সহ বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের,কন্যাশ্রী, মিড ডে মিল সহ সরকারের জনদরদী প্রায় ১৭ টি প্রকল্পের পরিচালনায় সমস্যা হয়, তেমনি সিংহভাগ বিদ্যালয় যেখানে পোলিং স্টেশন রূপে গৃহীত হয়, তার রক্ষণাবেক্ষণ কাজেও সমস্যা হয়।”

মাইতি আরও জানান, আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি কোথাও কোথাও কর্মীদের বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের নির্বাচনের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। কোথাও আবার পদমর্য্যাদা অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টনের নিয়ম মানাও হয়নি। আমরা মাননীয় বিচারকের কাছে এই বিষয়গুলি তথ্য প্রমাণাদি সহ হাজির করেছিলাম। কমিশনের আইনজীবীরাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে দায়িত্ব বন্টনের কাজে ত্রুটি হয়েছে এবং তাঁদের নজরে আনলে তা সমাধান করবেন।” দুই পক্ষের  যুক্তি শোনার পর নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দ্রুত কোনো রায় দান থেকে জাস্টিস মুখার্জী বিরত থাকেন।

যদিও সোসাইটির পক্ষ থেকে তোলা বক্তব্য,তথ্য,প্রমানাদি পর্যবেক্ষণ করার পর তাঁদের যুক্তি যে অগ্রাহ্য করার নয় তারও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। বিচারক ৬ সপ্তাহের মধ্যে তিনি হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সোসাইটির পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া হচ্ছে বলে মনস্থ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক।

সম্পাদক বলেন, মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সোসাইটির পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’ শ্রী মাইতি আরও বলেছেন, “এই সমস্যাটি কেবলমাত্র একটি নির্বাচনের নয়, প্রতিবার এবং প্রতিবছর নির্বাচনে বিদ্যালয়ের প্রধানদের এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আমরা এই বিষয়ে আদালতের একটি স্থায়ী রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি যা ভবিষ্যতে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং যার ভিত্তিতে আগামী দিনে কমিশন ঠিক করবেন, বিদ্যালয় প্রধানদের ভোটের কাজে যুক্ত করা যাবে কি না।”

RELATED ARTICLES

Most Popular