Homeএখন খবরবলি পাড়ায় মাদক ইস্যুতে জয়া বচ্চনের সমর্থনে মুখ খুললেন হেমা মালিনী

বলি পাড়ায় মাদক ইস্যুতে জয়া বচ্চনের সমর্থনে মুখ খুললেন হেমা মালিনী

ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডে কেবল দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের খেলা চলছে। তাদের মধ্যে এই মূহুর্তে অন্যতম কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক ভিডিও বার্তায় বলিউডের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করে চলেছেন অভিনেত্রী। আর অভিনেত্রীর একের পর এক মন্তব্যে তার অনুরাগীরা উদ্বুদ্ধ হয়ে সেই বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই বলিউডের অন্দরে চাপানোতরের সৃষ্টি হয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বি-টাউন বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে কঙ্গনা রানাওয়াতে ও তার সমর্থকেরা। অন্যদিকে আবার বিরোধী পক্ষ হিসেবে রয়েছেন সোনম কাপুর, করিনা কাপুর, তাপসী পান্নু, রিচা চাড্ডা এছাড়াও আরও অনেকেই রয়েছে। তবে সবাই যে পক্ষে- বিপক্ষে রয়েছে তা কিন্তু নয়। একই সাথে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি দলও রয়েছে। যারা সব কিছুই দেখছেন কিন্তু ঝামেলায় না জড়িয়ে চুপ করে থাকাই বুদ্ধিমত্তা বলেই মনে করছেন।

সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নেমে মাদকযোগের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই সেকারণে মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে। একই সাথে মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়েছে সারা আলি খান, রকুল প্রীত সিং ও শ্রদ্ধা কাপুরের৷ এরপর থেকেই কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর একাধিক বক্তব্যে বলেছেন বলিউডের ৯৯% তারকাই নাকি মাদকাসক্ত এরপরই মঙ্গলবার, সাংসদে বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগ মুখ খোলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ও অভিনেত্রী জয়া বচ্চন ।
এ বার জয়া বচ্চনের পরই বলিউডে মাদকচক্র নিয়ে জয়া বচ্চনকে সমর্থন করে মুখ খুললেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী ।

বুধবার এক সংবাদ মাধ্যমে হেমা মালিনী বলেন, ‘‘আমি এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমার নাম,যশ, খ্যাতি, সম্মান সব অর্জন করেছি। আমি সকলকে বলতে চাই, বলিউড সত্যিই সুন্দর । একটা সৃজনশীল জায়গা । এটা শিল্প এবং সংস্কৃতির ইন্ডাস্ট্রি । আমার ভীষণ কষ্ট হয় যখন শুনি মানুষ এই ইন্ডাস্ট্রির সম্বন্ধে খারাপ খারাপ মন্তব্য করছে । মাদক চক্র নিয়ে এত কথা বলছে, কিন্তু পৃথিবীর কোথায় এটা হয় না? কিন্তু যদি সত্যিই দাগ লেগে থাকে, সেটা ধুয়ে-মুছে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে।’’

তবে এখানেই থেমে থাকেনি এই প্রথম সারির অভিনেত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে কত প্রবাদপ্রতিম শিল্পীদের জন্ম হয়েছে। ম্যাটনি আইডলরা দর্শকদের কাছে ভগবান তুল্য । মানুষ সবসময় ভাবেন, এঁরা সত্যিই অভিনয় করেন, নাকি এঁরাই ভগবান । রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্রজি, অমিতজি এঁরা সব এমন ব্যক্তিত্ব, যাঁরা বলিউডকে ভারতীয়দের কাছে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমি এটা নিতে পারি না, যখন দেখি অন্য কেউ সেই জায়গাটার উপহাস করছে। তবে যদি এরকম কিছু এখানে ঘটেও থাকে, তার মানে এই নয় যে ইন্ডাস্ট্রির সবাই খারাপ । নেপোটিজমের স্বার্থে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছেলে-মেয়ে সিনেমায় এলেই সে সুপারস্টার হয়ে যায় না । ভাগ্য আর প্রতিভাই সবচেয়ে বড় কথা ।’’

RELATED ARTICLES

Most Popular