Homeএখন খবরহেঁসেলিয়ানা: দশমী স্পেশাল ।। সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হেঁসেলিয়ানা: দশমী স্পেশাল ।। সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দশমীতে ইলিশের এপার বাংলা, ওপার বাংলা                                  সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ দশমী…. মা উমার কৈলাশ এ ফিরে যাওয়ার পালা। বাঙালির দুঃখের দিন ঠিকই।কিন্তু সুখ দুঃখ নিয়ে ই আমাদের জীবন।মা র এই চলে যাওয়ার দিন টি আমরা বাঙালিরা বিজয়া সম্মেলন করে থাকি। পরস্পরের সাথে দেখা করা, মিষ্টিমুখ,রকমারি ব্যঞ্জন পরিবেশন বা স্বাদ নেওয়া। কিন্তু এবার আমরা কোভিড প্রোটোকোলে বাঁধা পড়েছি। তাই সুস্থ থাকার তাগিদে একে অন্যের বাড়ি নাই বা গেলাম। পুজোর বাকি দিন গুলোর মতো বরং বাড়িতে বসেই পুজোর শেষ দিনের রান্নাটা করে মজা করে টার স্বাদ নিই।
পূর্ব বঙ্গে আজ দশমীর দিন মা র ভোগে জোড়া ইলিশ দিয়ে আমিষ পদ দেওয়ার একটা রীতি আছে. তাই আসুন সেই রীতি মেনে আজ আমরা দু রকমের ইলিশের পদ তৈরী করে ফেলি। ইলিশের ঝোল,সরষে ভাপা বা পাতুরি যখন এঁকঘেয়ে হয়ে যায় তখন মুখের স্বাদ বদলের জন্য এই রান্না অন্য স্বাদ এনে দেয়।

## দই ইলিশ ##
উপকরণ:
ইলিশ,
টক দই হাফ কাপ,
পোস্ত এক বড় চা চামচ,
নুন ও কাচা লঙ্কা দিয়ে বাটা এক টেবিল চামচ সর্ষে বাটা,
নুন হলুদ, কাচা লঙ্কা,চিনি।

প্রণালী:
ইলিশ মাছ ধুয়ে রেখে দিতে হবে চাইলে হালকা ভেজে নেবেন আবার না ভাজলেও চলবে।একটা পাত্রে টক দই,পোস্ত সরষে বাটা,নুন ,চিনি,হলুদ,লঙ্কার গুড়ো দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নেবেন।এই ফেটানো র মধ্যে চার চামচ সরষের তেল দিয়ে মাছ গুলোকে ডুবিয়ে আধ ঘন্টা ঢেকে রেখে দেবেন।আধ ঘন্টা পর কড়াই গরম হলে সাবধানে মিশ্রণ টা ঢেলে ঢেকে ফুটিয়ে নিতে হবে কিছুক্ষন পর আর তিন চামচ সরষে র তেল আর কাচা লঙ্কা চিরে দিয়ে একটু ফুটিয়ে নামিয়ে নেওয়া।

এটা আরেকটা বাংলাদেশের পুজো রেসিপি। ইলিশের ঝোল,সরষে ভাপা বা পাতুরি যখন এঁকঘেয়ে হয়ে যায় তখন মুখের স্বাদ বদলের জন্য
উপকরণ
ইলিশ মাছ, নুন ,হলুদ,মেথি, কাচা লঙ্কা ,শুকনো লঙ্কা,ধনে গুঁড়ো জিরে গুঁড়া চাইলে বাটা ও দেওয়া যাবে টমেটো, মুখী কচু
প্রণালী
মাছ খুব হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে নুন হলুদ মাখিয়ে।তারপর মাছ ভাজা র তেলে মেথি আর শুকনো লঙ্কা ফোরন দিয়ে ডুমো করে কাটা মুখী কচু নুন হলুদ দিয়ে ভাজা হলে তাতে ধনে গুঁড়ো জিরে গুরো টমেটো দিয়ে কষিয়ে জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।মুখী কচু সেদ্ধ হলে মাছ দিয়ে অল্প ফুটিয়ে কাচা লঙ্কা চিরে দিয়ে নামিয়ে ফেলা। পূর্ব বঙ্গে টাটকা ইলিশের ঝোল এই একই পদ্ধতিতে কাঁচকলা, বেগুন ,কুমড়ো এমন কি ঝিঙ্গে দিয়েও হয়।অনেকে মেথির পরিবর্তে কালোজিরা ফোরণ দিয়ে থাকেন।তবে আমি নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ইলিশের ঝোল এ মেথি ফোড়ন একটা আলাদা মাধুর্য এনে দেয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular