Homeএখন খবরলকডাউনের মধ্যেই হুগলির ১১ থানা এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা ও কেবল নেটওয়ার্ক,...

লকডাউনের মধ্যেই হুগলির ১১ থানা এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা ও কেবল নেটওয়ার্ক, ভোগান্তি সাধারন মানুষের

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউনের মধ্যেই হুগলির একটি এলাকায় শুরু হয়েছিল গোষ্টি সংঘর্ষ। সোশ্যাল মিডিয়া হুহু করে ছড়াচ্ছে সেই সংঘর্ষের ছবি, ভিডিও। আর তা রুখতেই চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমায় ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের। ১৭ মে পর্যন্ত হুগলির চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর মহকুমা এলাকায় সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । কেবল টিভির সংযোগ ও ডিশটিভি পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় চন্দননগর সাব-ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত ভদ্রেশ্বর তেলেনীপাড়ার বোমাবাজির ঘটনার ভুয়ো ছড়াতে শুরু করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও হোয়াটস গ্রুপে ভুয়ো খবর ঘুরছিল। এই ঘটনা নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে চন্দননগর, শ্রীরামপুর-সহ হুগলির ১১টি থানায় বন্ধ নেট পরিষেবা। ফেক নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন।আগামী ১৭ মে পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।

মঙ্গলবার সকালে ভদ্রেশ্বরের তাঁতিপাড়া, সেগুনবাগান, তেলেনিপাড়া এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। তারপরই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যে ১১টি অঞ্চলে বন্ধ নেট থাকবে সেগুলি হল
চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর, শ্রীরামপুর, রিষড়া, ডানকুনি, উত্তরপাড়া, চাঁদিতলা এবং জঙ্গিপাড়া । পাশাপাশি ব্রডব্যান্ডের কেবল নেট, সঙ্গে ভোডাফোন, বিএসএনএল, এয়ারটেল, আইডিয়া, জিও-র নেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে কেবিল টিভি ও ডিসটিভির পরিষেবাও।

লকডাউনে মানুষ বাড়ি থেকে বেরুতে পারছেন না। সময় কাটানোর একমাত্র উপায়, টিভি কিংবা মোবাইল। ভরসা ইন্টারনেট। আগামী কয়েকদিন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন সাধারন মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের কাছেও বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। গুজব আর প্ররোচনার মুখে এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিলনা বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছেন , “প্ররোচনা দিয়ে বিভেদ ছড়ানো হচ্ছে, মানুষকে পণ্য হিসাবে দেখবেন না। এটা বিভেদ সৃষ্টি করার সময় নয়।”

RELATED ARTICLES

Most Popular