Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গস্বামীকে লুকিয়ে রেখেছে শ্বশুর বাড়ি , ফিরে পেতে ধর্ণায় বসে বেধড়ক মারে...

স্বামীকে লুকিয়ে রেখেছে শ্বশুর বাড়ি , ফিরে পেতে ধর্ণায় বসে বেধড়ক মারে আহত গৃহবধূ

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিনের পর দিন দেখা মিলছে না স্বামীর, হচ্ছেনা মোবাইল সংযোগও । বাধ্য হয়েই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিলেন তরুনী গৃহবধূ কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধরের জেরে আহত ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল বধূকে। বুধবার কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাঘডোকরা ফুলকাডাবরির বাসিন্দা কিরণ রায় ওরফে কৌশিকের সাথে প্রায় আট বছর ধরে ব্রততী নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম ছিল। যদিও প্রথম থেকেই এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি কৌশিকের পরিবার। ২০১৭ সালে জুলাই মাসে কৌশিকের পরিবারের আপত্তি স্বত্তেও রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে নেয় দুজনে। আশা ছিল ছিল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও শ্বশুরবাড়ি মেনে নেয়নি ব্রততীকে। এরপর গতবছর ডিসেম্বর মাসে ব্রততীর পরিবারের তরফে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি যুগলের। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ফাল্গুন মাসে পুনরায় কিরণ-ব্রততীর বিয়ে দেওয়া হবে আশ্বাস দেয় যুবকের বাবা-মা। সেই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে ব্রততীর বাড়িতে থাকতে শুরু করে তাঁরা।

 

–এরপর কিছুদিন আগে কর্মসূত্রে জলপাইগুড়িতে চলে যান কিরণ। ব্রততীর অভিযোগ, এরপর থেকেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই আটকে রেখেছে কিরণকে। এই অভিযোগ তুলে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সোমবার থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন ব্রততী। সেখানে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন বধূ। আহত হন তাঁর শাশুড়ি। পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের ব্রততীর উপর হামলা চালায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। অভিযুক্তদের কথায়, কৌশিক কোথায় আছেন, সে বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। গোটা ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দিকেই আঙুল তুলেছে ব্রততী।

RELATED ARTICLES

Most Popular