Homeএখন খবরউচ্চমাধ্যমিকে মেদিনীপুর খড়গপুর প্রথম দুই থেকে ছ'য়ে, পাশের হার ৯০.১৩ %, পাশের...

উচ্চমাধ্যমিকে মেদিনীপুর খড়গপুর প্রথম দুই থেকে ছ’য়ে, পাশের হার ৯০.১৩ %, পাশের হারে কলকাতার পরেই দুই মেদিনীপুর

ওয়েব ডেস্ক : উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সম্ভাব্য প্রথম ছয়ে উঠে আসল খড়গপুর মেদিনীপুরের নাম। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় রাজ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় অনীক জানা । অনীক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র । তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮ ।সে ভবিষ্যতে পদার্থবিজ্ঞানী হতে চায়।অনীকের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের মিরবাজারে । অনিকের বাবা ডা: যাদব কুমার জানা চিকিৎসক , মা মামনি জানা গৃহবধূ । অনীক দুবছর আগে একই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম হয়েছিল।

অন্যদিকে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ৪৯৪ পেয়ে উঠে এসেছে সৌগত মাজীর নাম। সৌগতর বাড়ি মেদিনীপুরের বরিশাল কলোনিতে। সৌগত ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় । তার বাবা সুভাস মাজী বিমা কর্মী , মা বনশ্রী মাজি গৃহবধূ।
উচ্চমাধ্যমিকের ষষ্ঠ স্থানে খড়গপুর শহরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের ছাত্রী অনন্যা ভৌমিক। সামগ্রিক ভাবে ৪৯৪ পাওয়া অনন্যা উদ্বেগে ছিল পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের পরীক্ষা না হওয়ায়। কিন্তু অংকে পাওয়া ১০০ ওই দুটি বিষয়ে যোগ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ মুক্ত সে। অনন্যার বাবা তরুন ভৌমিক একজন রেল কর্মী মা সুজাতা গৃহবধূ। শহরের বালাজি মন্দির এলাকার বাসিন্দা অনন্যা চায় শিক্ষিকা হতে।

এবার অবশ্য সর্বত্রই ভাল ফলের সংবাদ। উচ্চমাধ্যমিকে এবছর পাশের হার ৯০.১৩ %। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ৪% বেশি। পাশাপাশি এবছর সর্বোচ্চ নম্বরে রেকর্ড গড়েছে রাজ্য৷ রাজ্যের সর্বোচ্চ নম্বর ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯, অর্থাৎ ৯৯.৯৮ %। সাফল্যের দিকে ছাত্রদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছাত্রীরা। এবছর ছাত্রীদের পাশের হার ৯০% এর বেশি। এদিকে ছাত্রদের পাশের হার ৯০.৪০%। সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস জানিয়েছেন, গত বছর ৮৬.২৯% ছাত্রছাত্রী পাশ করেছিল। কিন্তু এবছর সেই হার বেড়ে হয়েছে ৯০.১৩%। সর্বোচ্চ নম্বরের নিরিখেও এবছর রেকর্ড।

তবে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এবছর কলকাতার নাম না থাকলেও উচ্চমাধ্যমিকে কিন্তু সবচেয়ে ভাল ফল করেছে কলকাতা। এরপরই পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিম্পং, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া। প্রথম বিভাগেই পাশ করেছে ৫০% এর বেশি পরীক্ষার্থী। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন এবছর কোনও ফলাফলই অসম্পূর্ণ নেই। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩। বিজ্ঞান বিভাগের পাশের হার ৯৮.৮৩ শতাংশ, বাণিজ্যে ৯২.৩৩ শতাংশ, কলা বিভাগে পাশ করেছে ৮৮.৭৪ শতাংশ পড়ুয়া। ফলপ্রকাশের পর পরীক্ষার্থীদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সংসদের সভানেত্রী জানান, যেহেতু এবছর সব পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি সেকারণে এবছর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হলনা। তবে এদিনই স্কুলগুলিতে মার্কশিট দেওয়া হবে না বলেও জানান সভানেত্রী। তিনি বলেন, ৩১ জুলাই স্কুল গুলি থেকে নিজেদের মার্কশিট নিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরাই। তবে সেক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষাবিধি মেনে স্কুলে ঢুকতে হবে৷ এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে ওয়েব সাইটেই রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে৷ পরীক্ষার্থীরা চাইলে সেটিও প্রিন্ট আউট বের করে নিতে পারবে৷ যদি কোনো পরীক্ষার্থী তার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হন, সেক্ষেত্রে তাঁরা ফের পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন জানাতে পারেন। তবে কবে পরীক্ষা হবে তা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি মহুয়া দাস। তবে যদি কেউ স্ক্রুটিনি কিংবা রিভিউয়ের আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে ৩১ শে আগস্টের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular