Homeএখন খবর"আমিই একমাত্র সুশান্তের আইনি উত্তরাধিকার", সুশান্ত মামলায় সিবিআই হস্তক্ষেপের পর বিবৃতি জারি...

“আমিই একমাত্র সুশান্তের আইনি উত্তরাধিকার”, সুশান্ত মামলায় সিবিআই হস্তক্ষেপের পর বিবৃতি জারি করলেন কেকে সিং

ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ জলঘোলার পর শেষমেশ বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং জনগণের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি জারি করেন। এই বিবৃতিতে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, আইন অনুযায়ী তিনি এবং তাঁর মেয়েরাই একমাত্র সুশান্তের অভিভাবক তথা উত্তরাধিকার। সুতরাং সুশান্তের সম্পত্তির বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের সদস্যদের আছে। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সুশান্তের পরিবারের সাথে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না এধরণের নানা মন্তব্য নজরে আসে। এমনকি এই মন্তব্যের ভিত্তিতে নানা কুকথাও শুনতে হয় সিং পরিবারকে। এতদিন এবিষয়ে মুখ না খুললেও সুশান্ত মামলা সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর সুশান্ত অনুরাগী কিংবা দেশবাসীর কাছে কোনোভাবেই যাতে ভুয়ো খবর না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতেই বৃহস্পতিবার এসকল মন্তব্যের যোগ্য জবাব দিয়ে পরিবারের তরফে এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং জানিয়েছেন, ”আমিই একমাত্র সুশান্তের আইনি উত্তরাধিকার তথা অভিভাবক। সুশান্ত বেঁচে থাকাকালীন যে সমস্ত আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করতেন, ওঁর মৃত্যুর পর ওই সমস্ত চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি লিখিত সম্মতি না দিলে সুশান্তের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ কোথাও হাজিরা দিতে পারবেন না।” সুশান্তের বাবার এদিনের বিবৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যেহেতু রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবার সুশান্তের অন
তিনটি সংস্থার অংশীদার হিসেবে জড়িত, সেকারণে সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁরা যাতে কোনোভাবেই কোম্পানিগুলির মালিকানা দাবি করতে না পারেন সেকারণে মূলতঃ রিয়া চক্রবর্তীকে ‘শায়েস্তা’ করতেই সুশান্তের বাবা কেকে সিংয়ের এই বিবৃতি জারি করেন।

পাশাপাশি এদিনের বিবৃতিতে তিনি আর একটু স্পষ্ট করে বলেন যে, ”আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই সুশান্তের পরিবার বলতে আমি আর আমার মেয়েরাই বুঝবেন। আমাদের সবার যৌথ সিদ্ধান্তে আইনজীবী হিসেবে বরুণ সিংকে নিয়োগ করেছি। সেই সাথে আমাদের পরিবারের হয়ে সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ সিংকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দিয়েছি। এছাড়া আর কেউ যদি নিজেকে সুশান্তের পরিবারে বলে দাবি করেন, সেটা মোটেই গ্রাহ্য করা হবে না। জানবেন, তাতে আমাদের পরিবারের কোনও সম্মতি নেই।” কেকে সিং এর এই মন্তব্য যে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারকে ঘিরেই, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শীর্ষ আদালতের তরফে সুশান্ত মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং এর বিবৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যে, সুশান্তের তিনটি সংস্থার অংশীদার হিসেবে রিয়া চক্রবর্তীকে জব্দ করতেই কেকে সিং তড়িঘড়ি এই বিবৃতি জারি করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular