Homeএখন খবরIIT-Kharagpur-র আবিস্কারকে স্বীকৃতি দিল ICMR ! সস্তায় করোনা পরীক্ষার মেশিন এবার বাজারে...

IIT-Kharagpur-র আবিস্কারকে স্বীকৃতি দিল ICMR ! সস্তায় করোনা পরীক্ষার মেশিন এবার বাজারে নামার অপেক্ষায়

নরেশ জানা: দীর্ঘ আড়াই মাসের সংগোপন অভিযান শেষ! স-সম্মানে উর্ত্তীর্ণ IIT-Kharapur য়ের আবিষ্কৃত ম্যাজিক বক্স ‘COVIRAP’ ।
আড়াই মাস আগে IIT-Kharagpur দাবি করেছিল তারা এমনই একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন যার সাহায্যে অতি অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত কম খরচে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। তাদের আরও দাবি ছিল কোনোও সমৃদ্ধশালী ল্যাব যা কিনা বাতানুকূল এবং অন্যান্য সুবিধা যুক্ত ছাড়াই যে কোনও পরিবেশে এবং যে কোনও জায়গায় নূন্যতম বিদ্যুৎ ব্যবহারে এই পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। IIT কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সিনথেটিক আর.এন.এ বা কৃত্তিম নমুনা পরীক্ষায় সফলতা পেয়েছিল কিন্তু একমাত্র ICMR (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ) যেহেতু মানবদেহের নমুনা সংগ্রহের আইনি ক্ষমতা আছে তাই IIT কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা চালিয়েছিল ICMR কর্তৃপক্ষের সাথে মিলিত ভাবে। আড়াইমাস অত্যন্ত সংগোপনে সেই পরীক্ষার পর অবশেষে সীলমোহর দিয়েছে ICMR.

ICMR য়ের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা ডঃ শান্তা দত্ত বুধবার IIT-Kharagpur কর্তৃপক্ষ আহুত একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘আইআইটি খড়্গপুরের এই আবিষ্কারকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁদের এই মেশিন এবং কিটস দুটোই যথেষ্ট কার্যকরী ভাবেই কোভিড পরীক্ষা করতে সক্ষম। ৯৩% ক্ষেত্রে এই মেশিন নমুনা পরীক্ষায় সাড়া দিয়েছে এবং ৯৮.৮% ক্ষেত্রে জীবানু শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।”

ICMR প্রতিষ্ঠানের জীবানু বিশেষজ্ঞ বা ভাইরোলজিস্ট যিনি IIT র সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন সেই ডঃ মমতা চাওলা সরকার জানিয়েছেন, ” ২০০ নমুনা নিয়ে আমরা এই পরীক্ষা চালিয়েছিলাম যা অত্যন্ত সফল হয়েছে। এই মেশিনে নমুনা পরীক্ষা RT/PCR পরীক্ষার মতই সমকক্ষ।”

IIT-Kharagpur-র এই গবেষক দলটির দুই নেতৃত্ব অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী ও অধ্যাপক অরিন্দম মন্ডল জানিয়েছেন। এই মেশিনটি বাজারে এলে সরকারি ভর্তুকি ছাড়া একটি নমুনা পরীক্ষা করতে খরচ ৫০০/৬০০ টাকা পড়বে। একটি আগে থেকে প্রোগ্রামিং করা মোবাইল আ্যপের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য কোনও বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকের দরকার নেই। শুধু তাই নয় এই মেশিনে কোভিড ছাড়াও যক্ষা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি নানা রকম পরীক্ষা করা যেতে পারে।

IIT-র ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারী জানিয়েছেন,” এই অতিমারি সময়ে গত ৭ মাস ধরে করোনা মোকাবিলায় জাতির পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছে আমাদের অধ্যাপক গবেষকরা। এই আবিষ্কার সেরকমই একটি প্রক্রিয়া যা সমাজের প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবে।” মেশিনটির পেটেন্ট পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন উদ্ভাবকরা। মেশিনটি যাতে বাজারে আসে তাই বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছে IIT কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি একে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বাজারে আনার জন্য কথাবার্তা বলেছে জানালেন কর্তৃপক্ষ।

RELATED ARTICLES

Most Popular