Homeএখন খবরমুখ্যমন্ত্রী বাস অধিগ্রহণ করলে ভালো, সমস্যা মিটে যাবে! দাবি বেসরকারি বাস সংগঠনের

মুখ্যমন্ত্রী বাস অধিগ্রহণ করলে ভালো, সমস্যা মিটে যাবে! দাবি বেসরকারি বাস সংগঠনের

ওয়েব ডেস্ক : বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার থেকে বন্ধ বেসরকারি বাস ও মিনিবাস সংগঠনের একাংশ৷ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বাস পিছু পরবর্তী ৩ মাস বাসভাড়া ১৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা করা হলেও নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল বাস মালিকরা। বাস মালিকদের দাবি, আগে প্রতিদিন একটি বাসে কমপক্ষে ১০০-১৫০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সুবিধা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সংক্রমণ রুখতে এইমূহুর্তে এতজন যাত্রী নেওয়া সম্ভব নয়৷ ফলে সে অর্থে ভাড়া অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার ওপর বাস ও কন্ডাক্টরের প্রতিদিনের বেতন, প্রতিদিন বাস জীবাণুমুক্ত করা সহ একাধিক ক্ষেত্রে একটি বাস চালাতে প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিদিন ৫০০ টাকা ভর্তুকি যথেষ্ট নয়৷ কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। এরপর গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিকে রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন বেসরকারি বাস রাস্তায় না নামালে সেগুলি অধিগ্রহণ করবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু স্পষ্ট জানান, “সরকার যদি বাস অধিগ্রহণ করে তো ভালোই, তবে টাকা দিতে হবে সাপ্তাহিক হিসাবে।” বাস সংগঠনগুলির এমন মন্তব্য রাজ্য সরকারের হুমকির প্রত্যুত্তরে সরকারকে পাল্টা চাপ দেওয়ার কৌশল বলেই মনে করছেন অনেকে।

তিনি বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী বাস অধিগ্রহণ করলে তো আরও ভালো। সেক্ষেত্রে জ্বালানি সরকার নিজে ভরিয়ে নেবে। আমাদের তো জ্বালানির দাম বাড়ার জন্য সমস্যা। সেই সমস্যা মিটে যাবে। তবে যদি বাস অধিগ্রহণ হয়, আমরা চাই সাপ্তাহিক টাকা দেওয়া হোক। আমরা ভাড়া না বাড়ালে বাস চালাতে অপারগ। সরকার বাস অধিগ্রহণ করুক। আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। এর আগে ২০১৯-র ভোটে আমাদের কাছ থেকে সরকার বাস অধিগ্রহণ করেছিল। সেই বাবদ এখনও ৫ কোটি টাকা বকেয়া। তার মধ্যে ২ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য সরকার অর্ডার পাস করেছিল। এ বছর মার্চে টাকা পাওয়ার কথা ছিল। লক ডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আমরা তা এখনো পাইনি।”

তবে বেসরকারি সংগঠনগুলির দাবি, সরকার যদি একান্তই ভাড়া না বাড়ান সেক্ষেত্রে বাস চালিয়ে লাভ তো নেই বরং লোকসান অনেক বেশি। ফলে মহামারি আইনের ভিত্তিতে সরকার যদি বাস অধিগ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে তেলের খরচ বহন করবে সরকার। তবে সরকারি চালক নয় সংগঠনের চালক ও কন্ডাক্টর দিয়েই বাস পরিষেবা দিতে হবে। তাতে লোকসানের ঝুঁকি অনেকটাই কম। শহরের বাস ও জেলার বাসের ক্ষেত্রে একই নিয়মের দাবি তোলেন বেসরকারি বাস সংগঠন।

উল্লেখ্য, তবে রাজ্য ও বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির দ্বন্দ্বে মাঝেও লক্ষ্য করা যায় মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার শহরের রাস্তায় বেসরকারি বাস পরিষেবা অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবার কলকাতায় ৬ হাজার বেসরকারি বাসের মধ্যে মাত্র হাজার খানেক বাস চলেছে। এর জেরে নাজেহাল হতে হয়েছে মানুষজনকে। বুধবার তা সামান্য বেড়ে ১৩০০৷ তবে বুধবার বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠনগুলির তরফে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular