Homeএখন খবর“সরকার না পারলে বিজেপি দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে", নিট, জিইই...

“সরকার না পারলে বিজেপি দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে”, নিট, জিইই পরীক্ষা নিয়ে সরব সাংসদ অর্জুন সিং

ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে নিট জিইই পরীক্ষা স্থগিত রাখতে কার্যত মাঠে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে যাতায়াতেরও অসুবিধায় পড়তে পারেন, এ ধরনের একাধিক বিষয় নিয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষার স্থগিত রাখতে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কথায় কান না দিয়ে শেষমেশ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই নিট জিইই পরীক্ষার দিনক্ষণ স্থির করে কেন্দ্র সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধীতা করে রবিবার জনাইয়ের সভা থেকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “সরকার না করতে পারলে বিজেপি দায়িত্ব নিয়ে সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে।”

পাশাপাশি এদিনের সভায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব কিছুতেই বিরোধিতা। সুপ্রিম কোর্ট কিছু বললে তিনি তা মানবেন না, হাই কোর্ট কিছু বললেও মানবেন না। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সরকার গাড়ির ব্যবস্থা করুক, তা না হলে বিজেপি এই দায়িত্ব নিচ্ছে। সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তবে শুধুমাত্র অর্জুন সিং নয় এই একই বিষয়ে রবিবার শিলিগুড়ির সভাস্থল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছেন। তাঁর উচিত অবিলম্বে লকডাউন বাতিল করে নিট জিইই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থী যাতে কোনোরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হয়ে পরীক্ষায় বসতে পারে সেই সুযোগ করে দেওয়া। রাজনীতি করতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার তাঁর নেই।”

এদিন শিলিগুড়ির সভাস্থল থেকে একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, মুসলিমদের তোষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি সভাস্থল থেকে আরও অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রায় ৭০% কৃষক অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজির সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের একাধিক নেতার মদতেই কৃষকদের এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাঁর দাবি, কৃষক যোজনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২১ লক্ষ কৃষকের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সারাও দিয়েছে কেন্দ্র। সেই আবেদন স্বীকৃতির জন্য রাজ্যের কাছে পাঠানোর হলেও রাজ্যের তরফে তা নিয়ে আর আগ্রহ দেখানো হয়নি। ফলে প্রায় পনেরো হাজার কোটি টাকার সুবিধা এ রাজ্যের কৃষকদের হাত ছাড়া হয়। তিনি আরও বলেন, যদি এই বিপুল অঙ্কের টাকা কৃষকরা পেতেন তবে এই মূহুর্তে তাদের এভাবে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হত না।

RELATED ARTICLES

Most Popular