Homeএখন খবরবন্যাকে উপেক্ষা করে বাইকে ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি, জিইই পরীক্ষায় বসল ঘাটালের মেধাবী...

বন্যাকে উপেক্ষা করে বাইকে ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি, জিইই পরীক্ষায় বসল ঘাটালের মেধাবী ছাত্র

ওয়েব ডেস্ক : বন্যা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে স্বপ্নপূরণ করলেন ঘাটালের এক মেধাবী ছাত্র রূপক সাহা। মঙ্গলবার ঘাটাল থেকে কলকাতার বাস কার্যত নেই বললেই চলে এই পরিস্থিতিতে কি করবে বুঝতে না পেরে শেষমেশ ছেলের ইচ্ছা পূরণ করতে প্রতিবেশীর কাছ থেকে বাইক ধার করে বাইকে করে ছেলে নিয়ে ঘাটাল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন বাবা অশোক সাহা।

অশোকবাবু পেশায় দিন মজুর৷ ছেলে রূপক ঘাটালের পাঁচবেড়িয়া রামচন্দ্র শিশুশিক্ষা মন্দিরের এই মেধাবী ছাত্র। পরিবারে অভাব থাকলেও বরাবরই উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেছে রূপক। তাই ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করলেন বাবা৷ মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ বাইকে করে ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ঘাটাল থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ঘন্টস চারেক। তার উপরে দোসর বৃষ্টিও। এ প্রসঙ্গে রূপকের বাবা অশোক সাহা বলেন ” কি করব বলুন ছেলে পরীক্ষা দিতে চায়। ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি তো বাবা হিসাব এইটুকু করতেই পারি। করোনার জন্য বাসে ছাড়ার ভরসা হয়নি। তার উপরে সোমবার লকডাউন থাকায় ছেলেকে নিয়ে তাই বাইকে করে নিয়ে চলে এলাম। খরচা হচ্ছে, পরিশ্রম হচ্ছে কিন্তু ছেলে আগামী দিনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে ওর থেকে বেশি খুশি আমি হব না।”

এবছর পাঁচবেড়িয়া গ্রামে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে রূপক সাহা। তবে ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষায় বদলেও রূপকের বরাবর চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে বেরিয়ে এসে এদিন রূপক বলেন, “ঘাটালে বন্যা হয়েছে। করোনার ভয় আছে। কিন্তু আমাদের কাছে এই ধরনের পরীক্ষা সুযোগ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ একবারই আসে। আর তাই বাবার ভরসাতেই কলকাতাতে এসে পরীক্ষা দিয়ে গেলাম।” একই সাথে রূপক বলে ” আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষাও আমি দেব। ওই পরীক্ষা কেন্দ্র অবশ্য দুর্গাপুরে পড়েছে। আমার ইঞ্জিনিয়ার এর চেয়ে চিকিৎসক হওয়ার বেশি ইচ্ছে। বাকিটা অবশ্যই নির্ভর করছে আমি কী রকম পরীক্ষা দিচ্ছি তার উপর।”

RELATED ARTICLES

Most Popular