Homeএখন খবরIIT KHARAGPUR হোস্টেলে থাকাটা অত্যন্ত ঝুঁকি প্রবন, স্বাস্থ্য পরিষেবা অপ্রতুল, বাড়ি ফিরে...

IIT KHARAGPUR হোস্টেলে থাকাটা অত্যন্ত ঝুঁকি প্রবন, স্বাস্থ্য পরিষেবা অপ্রতুল, বাড়ি ফিরে যান! ফের পড়ুয়াদের অনুরোধ কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব সংবাদদাতা: পড়ুয়াদের জন্য হোস্টেলে থাকাটা অত্যন্ত ঝুঁকি পূর্ন হয়ে যাচ্ছে বলে অবিলম্বে তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ফের অনুরোধ জানালো IIT-KHARAGPUR কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছেন যে এই শহরে কোভিড আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়ার মত ব্যবস্থাও অপ্রতুল। এই অতিমারি সঙ্কটকালে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়াটাই হবে উচিৎ কাজ।

IIT-KHARAGPUR য়ের ছাত্র ছাত্রী সম্পর্কিত ডিন অধ্যাপক সোমেশ কুমার লিখিত মেল করে ক্যাম্পাসে থেকে যাওয়া প্রায় ৬০জন মত পড়ুয়াকে বলেছেন , ” মারাত্মক চাপ এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার (stressed and insufficient medical facilities) কারনে পড়ুয়াদের হোস্টেলে থেকে যাওয়াটা অত্যন্ত ঝুঁকি (highly risky) হয়ে পড়েছে। আমি আবারও অনুরোধ করছি অনুগ্রহ করে বাড়ি যাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব পরিবারের কাছে ফিরে যান।”
উল্লেখ্য হঠাৎ করোনার মারাত্মক ছোবলের কারনে একাধিক ডাক্তার ও চিকিৎসক কর্মী সহ ক্যাম্পাসে সংক্রমন ছড়ানোয় আগামী ১৩সেপ্টেম্বর অবধি আ্যকাডেমিক ক্যাম্পাস পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক কুমারের এই আবেদনের পাশাপাশি IIT-KHARGPUR য়ের ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারী রবিবার গবেষক পড়ুয়াদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাঁরা বাড়ি চলে গেছেন বা যাবেন সবাইকেই গবেষণার কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ডেকে নেওয়া হবে।
আইআইটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ ক্যাম্পাসে বাড়তে থাকা সংক্রমন ও সংক্রমনের কারনে আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়া বি. সি. রায় হাসপাতালের কথা মাথায় রেখেই ডিন এই আবেদন করেছেন। শুধু ক্যাম্পাস নয় খড়গপুর শহরেও স্বাস্থ্য পরিষেবা অপ্রতুল হয়ে পড়ছে।”

ওই আধিকারিক জানান,” ক্যাম্পাসের ১কিলোমিটারের মধ্যে রেলের হাসপাতাল রয়েছে যাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ায় একাধিকবার নিজেদের হাসপাতাল বন্ধ করতে হয়েছে। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালেও যে পরিমান শয্যা রয়েছে তা তাদের বাড়তি সংক্রমনের মুখে সঙ্কটে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার। এই অবস্থায় সত্যিই তো স্বাস্থ্য সঙ্কট রয়েছে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে ক্যাম্পাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত এবং যাদের সমস্যা একটু বেশি তাঁদের কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছে আইআইটি। বেশ কয়েকজন সেখানে ভর্তিও আছেন।

গবেষক পড়ুয়াদের বক্তব্য, যেহেতু ২৯শে আগষ্ট কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গবেষণা সংক্রান্ত কাজ, প্রযুক্তি ও কারিগরি সংক্রান্ত গবেষণা ফের শুরু করতে পারবে আইআইটির দ্রুত সেই পথে হাঁটবে ধরে নিয়েই তারা থেকে যাচ্ছেন। আবার বাড়ি যাওয়া, ফের আসা তাদের ঝক্কি হয়ে যাবে।
যদিও আইআইটির এক অধ্যাপক জানান, ” ওই নির্দেশ
IIT-KHARAGPUR য়ের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। ক্যাম্পাসের মধ্যে বাইরে যেভাবে করোনা সংক্রমন বাড়ছে তাতে এই মুহূর্তে গবেষনা বা অন্যান্য কিছুর পরিবেশ রয়েছে কিনা তা দেখেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।”

RELATED ARTICLES

Most Popular