Homeএখন খবরডেবরায় একই পরিবারের ১১জন সহ একই এলাকায় আক্রান্ত ১৪, করোনা বিধি না...

ডেবরায় একই পরিবারের ১১জন সহ একই এলাকায় আক্রান্ত ১৪, করোনা বিধি না মানাই কাল হচ্ছে সর্বত্রই

নিজস্ব সংবাদদাতা: আনলক ইন্ডিয়ায় ধিরে ধিরে খুলে যাচ্ছে সব কিছুই খালি আমাদের মগজটুকু ছাড়া। কর্ম ক্ষেত্রে যেতে হবে সবাইকে, ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে, করতে হবে চাষ আবাদও কিন্তু তার সঙ্গে যেটা করতে হবে তা হল করোনা বিধি মেনে চলা আর সেটাই সব চেয়ে অবহেলিত যার থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পারিবারিক সংক্রমন। বিপদে পড়ে যাচ্ছেন পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। এমনই ঘটনার নজির থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার হাশিমপুর।

যেখানে একই সাথে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪জন আর তার মধ্যে ১১জনই একই পরিবারের। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে খোদ ডেবরা বাজারের ওপর হাসিমপুর এলাকার চারটি পরিবারের ১৪জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে একই পরিবারের ১১জন রয়েছেন। একই ১১জনের মধ্যে ৫জন মহিলা এবং পরিবারের সবচেয়ে বয়স্কা সদস্যা আক্রান্ত হয়েছেন যাঁর বয়স বলা হয়েছে ৮৫বছর।

জানা গেছে ওই পরিবারের একটি জ্ঞাতি পরিবারের কয়েকজন প্রথমে আক্রান্ত হন। তারপরই এই পরিবারের সদস্যরাও নিজেদের নমুনা করানোর পরীক্ষার জন্য প্রদান করেছিলেন যার থেকে জানা যায় এই ১১জন পজিটিভ। এই আক্রান্তদের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় পূর্বে আক্রান্ত পরিবারটির এক সদস্য যিনি বাজারে একটি জনপ্রিয় ইমিটেশন দোকানের মালিক।

দোকানটিতে প্রচুর লোক সমাগম হয়। দোকানের সামগ্রী আনার জন্য দোকানের মালিক মাঝে মধ্যে কলকাতা যাতায়ত করতেন সম্ভবতঃ সেই সূত্রে তিনি আক্রান্ত হন। ওই ব্যক্তি থেকেই প্রথমে তাঁর পরিবার ও পরে জ্ঞাতি পরিবারটি সংক্রমিত হয়ে পড়ে। প্রায় একই সূত্রে আক্রান্ত হন অন্য তিন পরিবারের তিন সদস্য।

স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, এই সংক্রমনই বলে দিচ্ছে করোনা শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা না মানার জন্যই এই গন সংক্রমনের মত ঘটনা ঘটছে। মাস্ক না পরা এবং সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলার কারনে প্রথম ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। হতে পারে তিনি পাইকারি দ্রব্য কিনতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানেননি, তিনি যেখান থেকে জিনিস কিনেছেন সেই ব্যক্তি বা আসে পাশের লোক মাস্ক ব্যবহার করেননি বলে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। এই একই ভাবে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন মাস্ক হীন ও সামাজিক দূরত্ব না মানা ক্রেতাকে দ্রব্য বিক্রি করতে গিয়ে। পরে তিনি যখন বাড়িতে প্রবেশ করছেন তখন তাঁর হাত ২০সেকেন্ড ধরে উপযুক্ত পদ্ধতিতে ধোয়া দরকার যা তিনি সম্ভবত করেননি। ফলে তার দ্বারা পরিবার আক্রান্ত হচ্ছে। এবং এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অন্য পরিবারটিও।

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন কোনও একজন করোনা বিধি মেনে চললেই এই শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের মতে করোনা সাধারণ সুস্থ তরতাজা মানুষের কাছে একেবারেই বিপদের কারন নয় যতটা বিপদের বৃদ্ধ, শিশু ও দুর্বল অসুস্থ সদস্যদের জন্য। তাঁদের রক্ষা করার জন্যই পেশাগত কারনে বাইরে যেতে হয় এমন ব্যক্তিদের কঠোর ভাবে করোনা বিধি মানার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular